সঞ্জয় ঋষি'র কবিতা
বাবা
দাপুটে গরম যেন ইয়ং ঘোড়ার মতো ছুটছে সকাল থেকে বিকেল অব্দি। আমি তার রেস দেখছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে। হারা জেতার থেকেও বড়ো কথা এই চনমনে হৃদয়, খুড়ের শব্দের মতো টগবগ টগবগ করছে। রোদ যেন এখানে প্রতিযোগিতায় প্রথম, প্রথম হয়েছে...
লাঙলের ফলার মতো চকচকে স্মারক।
বাবা কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
আয়ু
লাশ দেখি অন্ধকারে শুয়ে
এক একটা দিন যায়
বয়স যাচ্ছে পেরিয়ে।
বিন্দু বিন্দু অসংখ্য ডট
প্রতিদিন উড়ে গিয়ে
সপ্ত ঋষিদের
বাবা মা ভাই বোন হয়ে যায়...
মেয়ে
দূরত্ব বেড়ে গেলে সময়ে-অসময়ে খুব কাছাকাছি এসে যায় সম্পর্ক। বাবা তাঁর বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা মনে হয় আমার ভেতর দিয়েই দেখেন। কবে কে কখন হুট করে চলে যাবে, ঠিকানা না দিয়েই।
এই যেমন আমার হুট করে লেখা আসে,আবার থেমে যায়। তখন আমি শুনি শালিখের কান্না, ডাহুকের গোঙানি। এর মধ্যে মায়ের কান্নাই আমি শুনতে পাই।
আমি জানি আমার মৃত্যু দেখলে মা পাগল হয়ে যাবে। আমার আগে মায়ের মৃত্যু মানে তো, মেয়ের মৃত্যু দেখার মতো যন্ত্রণা নিয়ে একা একা শ্মশানের দিকে এগিয়ে যাওয়া...
পারিবারিক
বাবা এখনো নিজের মতো ঠুকুস ঠুকুস করে,কখনো বেড়ায় সুতো দিয়ে ঝুঁকে থাকা ডাল সোজা করে,মা ঘরমোছা বাসনমাজা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না। তারপর ডাক...রান্নাঘর একে একে সুসম্পর্ক হয়ে ওঠে।বউদিদি জল ভরতে থাকে গ্লাসে। দাদা আসে খাবার টেবিলে।
ভাইপো আসে সিলেট মুছে...
তারপর আমার ডাক আসে। তারপরেই ভাবি।
কি কাজ করি আমি! কি উদ্ধার করলাম পরিবারের জন্য। কি উদ্ধার করলাম সমাজের জন্য,দু একলাইন লিখে।
ভাত খাওয়ার টেবিলে গেলে এসব মনে পড়ে।
মনে পড়ে এসব কবিতা কি কোনও পত্রিকায় পাঠানো যায়, নিসঙ্গতা?
সেতুবন্ধন
ঘরে উঠতে প্রথম সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন ছেলে। মা দ্বিতীয় সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন দোতলায়। তৃতীয় সিঁড়ি দিয়ে বাবা ন্যাঁড়া ছাদে।
তারপর বাবা মিলিয়ে গেলেন কৃষ্ণ গহ্বরের দিকে...
বাবা
দাপুটে গরম যেন ইয়ং ঘোড়ার মতো ছুটছে সকাল থেকে বিকেল অব্দি। আমি তার রেস দেখছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে। হারা জেতার থেকেও বড়ো কথা এই চনমনে হৃদয়, খুড়ের শব্দের মতো টগবগ টগবগ করছে। রোদ যেন এখানে প্রতিযোগিতায় প্রথম, প্রথম হয়েছে...
লাঙলের ফলার মতো চকচকে স্মারক।
বাবা কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
আয়ু
লাশ দেখি অন্ধকারে শুয়ে
এক একটা দিন যায়
বয়স যাচ্ছে পেরিয়ে।
বিন্দু বিন্দু অসংখ্য ডট
প্রতিদিন উড়ে গিয়ে
সপ্ত ঋষিদের
বাবা মা ভাই বোন হয়ে যায়...
মেয়ে
দূরত্ব বেড়ে গেলে সময়ে-অসময়ে খুব কাছাকাছি এসে যায় সম্পর্ক। বাবা তাঁর বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা মনে হয় আমার ভেতর দিয়েই দেখেন। কবে কে কখন হুট করে চলে যাবে, ঠিকানা না দিয়েই।
এই যেমন আমার হুট করে লেখা আসে,আবার থেমে যায়। তখন আমি শুনি শালিখের কান্না, ডাহুকের গোঙানি। এর মধ্যে মায়ের কান্নাই আমি শুনতে পাই।
আমি জানি আমার মৃত্যু দেখলে মা পাগল হয়ে যাবে। আমার আগে মায়ের মৃত্যু মানে তো, মেয়ের মৃত্যু দেখার মতো যন্ত্রণা নিয়ে একা একা শ্মশানের দিকে এগিয়ে যাওয়া...
পারিবারিক
বাবা এখনো নিজের মতো ঠুকুস ঠুকুস করে,কখনো বেড়ায় সুতো দিয়ে ঝুঁকে থাকা ডাল সোজা করে,মা ঘরমোছা বাসনমাজা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না। তারপর ডাক...রান্নাঘর একে একে সুসম্পর্ক হয়ে ওঠে।বউদিদি জল ভরতে থাকে গ্লাসে। দাদা আসে খাবার টেবিলে।
ভাইপো আসে সিলেট মুছে...
তারপর আমার ডাক আসে। তারপরেই ভাবি।
কি কাজ করি আমি! কি উদ্ধার করলাম পরিবারের জন্য। কি উদ্ধার করলাম সমাজের জন্য,দু একলাইন লিখে।
ভাত খাওয়ার টেবিলে গেলে এসব মনে পড়ে।
মনে পড়ে এসব কবিতা কি কোনও পত্রিকায় পাঠানো যায়, নিসঙ্গতা?
সেতুবন্ধন
ঘরে উঠতে প্রথম সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন ছেলে। মা দ্বিতীয় সিঁড়ি দিয়ে উঠলেন দোতলায়। তৃতীয় সিঁড়ি দিয়ে বাবা ন্যাঁড়া ছাদে।
তারপর বাবা মিলিয়ে গেলেন কৃষ্ণ গহ্বরের দিকে...
বাবা কবিতায় ' খুড়ের ' শব্দের বানান ' খুরের ' হবে
উত্তরমুছুনবাঃ প্রতিটি কবিতাই সুন্দর। বড় ভালো লাগল। কবিতার গায়ে মাটির গন্ধ লেগে আছে। বড় মায়াময় ভালোবাসার আলো জ্বলে উঠতে চাইছে। এই তো চাই কবিতার কাছে।
উত্তরমুছুন