সঙ্গীতা জানা'র কবিতা
আতপের ঘ্রাণ
রাতকে বলি,
সাতসকালে খুঁটে খাওয়ার
মতো কিছু রেখে যেও
ঘাসের দানার মতো সবুজ উচ্ছাস
মৃদু আলোয় চোখ ধুয়ে তোমাকেই
স্মরণ করছি লঘু চিত্তে
পাখির ঠোঁটে মুখর এ সকালে
সঙ্গীত ঝরে পড়ছে, ঠিক যেনো
বর্ষাকুসুম;
নিরাময়ের বুলি আউড়ে সুশ্রুষার
ডান হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কাছের কেউ
অকৃপণ নারীও দিয়েছে কাঙ্খিত
সুখ গোপন দরজা খুলে,
যেভাবে চিহ্ণ রেখেছে এতোদিন
সদর দরজায়
চৌকাঠে, ঠাকুরদালানে
খুব কাছাকাছি এলে যেভাবে
আসি---
একে একে খুলে রাখি যাবতীয়
অহঙ্কার
ভীড় করে থাকা সমূহ লজ্জ্বা, বিবিধ উপকরণ
শাড়ী গয়না এমনকি প্রিয়
হাতঘড়ি
দুহাত প্রসারিত করে মুক্ত
করি নিজেকে
শ্বাসের গতির সাথে সমস্ত
আকাঙ্খা
এইবার তুমি পুরুষ হয়ে ওঠো
প্রকৃতি
আমাকে গ্রহণ করো
আমার খিদে পড়ো
ব্যাক্তিগত
সাহস করে বলতে পারিনা তোমাকে
'ভালোবাসি'
পুরুষ মানেই ভেকধারী, নুড়ি
বোতলের ঝনঝনানি
বস্তাপচা শব্দ ঢেলে ইম্প্রেসের
সুড়সুড়ানি
যদিও এমন ভাবনা অমূলক,মুহূর্তে
টের পাই পায়ের পাতায় পিন ফোঁটার যন্ত্রণা, নির্ঘাত পুরুষ পিঁপড়ে
মায়াবী আঙুলের ডগায় উঠে
আসে আর্তনাদের মতো
ভারি কিছু শব্দ
এ সবই নিতান্তই ব্যাক্তিগত
কাচের বাইরে
দীর্ঘ অবসাদের পর চোখ মেলে
এখন
তোমাকে লিখতে বসে
তোমাকেই খুঁজছি
দুচোখে অন্ধ দেখি আজকাল
বৃষ্টির ফোঁটা গুনছি
টুপ টাপ টিপ টিপ
ঝাপসা দৃষ্টিপথে ঘোলাটে
বিকেল শুয়ে আছে
দু একজন আসে গলিপথে,
মাড়িয়ে দেয় অন্ধকার
টের পাই সব...
এসব থেঁতলে যাওয়া গল্প
সাদাপাতায় লিখে রাখি
তোমাকে স্মরণ করার আর কোনো
বিকল্প নেই
ভালো লাগলো লেখাগুলো।
উত্তরমুছুন