পুষ্প বনে পুষ্প নাহি
ক্ষণিকা- ভূমাবোধ থেকে দূরে
অলোক প্রবল
ছায়াকে গভীরতর
করে আমি রোজ
নদী দৃশ্য দেখি
আর যদির কথায়
হাত নাড়ে কেউ
নিসর্গ বিস্তৃত সেই
প্রদোষের ঢেউ
স্তনের চেতনা ছুঁয়ে
নরলোকে সুরলোকে
শ্রাবণ সুধায়...
অনন্ত- কি বলছো তুমি?
এসব আমার দায়?
এত অভিযোগ!
প্রণয় অবণত আমিও
মেখেছি ঐ কবিতার ক্ষত
ক্ষণিকা- সপ্তপর্ণীর ধরেছি হাত
অভিলাষ গোপনে
আজ কাঁদে!
নিচু স্বরে কথা
বলে ক্ষোভ
অনন্ত- আমাদের গুমোট বাতাসে
এই ভয়, এই ভবার্ণব
প্রাপণীয় জানি।
শ্বাষাঘাত পয়ারের
সমীহ জাগিয়ে
হে ঘাতক কত যে মধুর
বোঝনি বোঝনি
ক্ষণিকা- অভয় প্রণীত হলে
কাতরতা আর কিছু
হেতু ও অহেতু
বিস্ময় দৃশ্যটি
তোমার হৃদয়...
অনন্ত- নিরাকার কূহকের
প্রতিউন্মেষ, আরক্ত
দূরবিনে বড়
নিদারুণ
ঝড় ওঠে
মাস্তুলে মূলে নির্মূলে
দেখি সকরুণ
ক্ষণিকা- কথার কৌশল
ইঁদারা ছায়ায় শোনাতেই পারো
আমি আরো নূপুরের ধ্বনি
অক্ষৌহিনী অবারিত
দ্বার খুলে রাখি
অনন্ত- বেশ বললে প্রান্তর
গড় করি,করি গড়!
এখন অঘোর অঘোরীর
পাশা খেলা শুরু হবে
চুমুর আগে ঝগড়া নয়
তুমিও বলবে
ক্ষণিকা- সব জান্তা হয়ে গেছ।
সেই পরাক্রান্তা
পৌরুষের মতো।
হাসি পায় নিয়তির
অচেনা সুরের
সৌরভ মেখে মৌতাত
ছুঁয়ে দেখি মতিঝিল
কলোনীর বটগাছে
ঝুলছে মৌচাক
কিছু দূরে দরবেশী গান
কানে আসে--
যেভাবে তোমার বুকে
বুক রেখে আড়ি পাতে ঢেউ
অনন্ত- শীত, বসন্ত পীড়িত
দ্রাঘিমায় বসে আছি
বিহান জোনাকির সঙ্গম
কত যে ভৌতিক!
জ্যোৎস্নার অভিমান গুঁড়ো
লেগে থাকে শিশিরের গালে
সন্ধ্যামালতির ফুল
ফুটেছে সকালে
ক্ষণিক- জীবনের আয়ু জলবায়ু
মগ্ন সেই মাটির জরায়ু
আদিগন্ত কৃষি সমাচার
মনে পড়ে হেমন্ত অপার
অনন্ত- অর্পণ পুষ্প কি ধ্যান?
অধিবিদ্যার আলোয় ছায়া
লেগে থাকা উৎসের ঘ্রাণ
দেবে ঢেলে কমণ্ডুলু স্তন?
মাধুর্য অতশীর ঘোর
পরাগতি নদীর মতন
ক্ষণিকা- কোন বিস্মিত দৃশ্যের দিকে
ঈর্ষা করার মতো নিজেকে
লুকিয়ে রেখেছো?
কতদিন আরক্তিম
করিনি তোমাকে!
ঘোড়ার লাগাম ধরে
শুধু ছুটে গেছি
অনন্ত- চাহনি ঘোরানো এই
ভুঁইচাপা ফুটে আছে
মাটির উপর
কীভাবে করুণা কথা
বলতে চেয়েছি মনে নেই
ক্ষণিকা- কিছুই বুঝিনা আমি
তোমার কথা! এত ঘুরপথ!
ইহজীবনের আহোপুরুষিকা
ব্যাথা, ব্যাথা-অন্তরাল
অনন্ত- যতটা আড়াল ততটাই
আমি কবিয়াল।
ততটাই তুমি দীঘিময়
বাস্তুতন্ত্র... মায়া...
শূন্যতার মুকুটে আরো একটি পালক লাগিয়ে কবিতা লিখছি... অযোধ্যা পাহাড়ে এখন রাত্রিবেলা। কাঙালের ঘর! পাখির শিসের মতো একবার তাকিয়ে দেখ... এর বেশি কিছু বলবার নেই, ভ্যানগগের সূর্যমুখী ইশারায় তোলা থাক
বাহ্ চমৎকার। তবে এত অল্পে কি মন ভরে? এগিয়ে চলুক।
উত্তরমুছুনবাহ্ চমৎকার। তবে এত অল্পে কি মন ভরে? এগিয়ে চলুক।
উত্তরমুছুনবাহ্ চমৎকার। তবে এত অল্পে কি মন ভরে? এগিয়ে চলুক।
উত্তরমুছুন