কার্তিক ঢক্-এর কবিতা
ভাঙন
বৃষ্টি মানো না তুমি
চলে যেতে-যেতে মেঘ ভাঙো আরো...
হাপুস-নয়নে আমার এখনো লেগে আছে
বাতিঘরের আলোগন্ধ।
তির্যক দৃষ্টিফলায় শিলাই পাথর ভাঙছো।
ভাঙছো, এখনো ভাঙছো
চলে যেতে যেতে তুমুল মেঘ ভাঙছো!
মুশালধারে বৃষ্টি
মানোনি
ভেসে যাচ্ছে চারপাশ
শরীরের হাইড্রেন এ ক্ষার নামের তরল
ঘিরে ফেলছে বাতিস্তম্ভ
এখনই অন্ধকার নামবে
তবু তুমি মেঘ ভাঙবে!
কারো অভিশাপে তুমিও কি অহল্যা হয়ে গেছো?
আলো-ছায়া
নিরবতা ভাঙছে-
কথা বলে হাওয়ার বুদবুদ।
দরবারি কানাড়া গায়ছে নাইটল্যাম্প লঘু-স্বরে
ফিলাম্যান্টের উষ্ণতা মাপে বিছানা বালিশ।
জনারণ্যের দেওয়াল টপকে
জানালায় আস্কারা পাচ্ছে চাঁদ
ধ্রুবতারার ছায়া পড়ছে তার গালে আর কপালে...
হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস
নাভিপদ্মের গন্ধে ষড়রিপু ঘুম থেকে
জেগে উঠে বললো-খেতে দাও...
তখন ভোরের বকুল ঝরছে আকাশে।
পাখিদের হারমোনিয়াম ঝাড়পোঁছের শব্দ।
বাতাসেএকটা খিদে খিদে চিনচিনে ব্যথা
হৃৎপিণ্ডের কুরুক্ষেত্র-মাঠে ঘন ঘন বেজে উঠছে পাঞ্চজন্য
শাঁখ...
অথচ,অন্নের
হাহাকার -
জলের চৌকাঠেও হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস!
ওগো পদ্ম পাসওয়ার্ড দাও-
একটি ভ্রমর বসুক
নাভিকূপের নিচে
ঠোঁটে যার আকন্ঠ মরুভূমি...
একটি স্কুটি-সন্ধ্যা
দুটি বাহু কিভাবে
সাপ হয়ে যায়-
বহিরাঙ্গ ভেদ করে অন্তর পেঁচিয়ে ধরে
চন্দ্রকলায় ভরা উত্তাল আকাশ
তারাদের মিলন-গীত ঝিঁ ঝিঁদের ঠোঁটে...
বিষহীন ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া সন্ধ্যায়
অন্ধকার ঝরে ঝরে পড়ে
রঙিন বাতাস কাটে চাঁদ-জলে ভিজে যাওয়া একাকার ওম্।
একটি সতর্ক হেড-লাইট শুধু পথ দেখায়...
ছেঁড়া পাঞ্জাবি
তেল শেষ!
প্রদীপ নিভলো ব'লে...
আলো! তুমি যখন অন্ধকারের
ঠোঁট কামড়াতে চায়ছো-
তখন দন্ত সুখেই থাকো!
আমি আমার বজরাটি নিয়ে
মরুভূমিই অবগাহন করি...
চোখের আলিস্যি ঝাড়লে দেখতে পাবে
একটি ছেঁড়া পাঞ্জাবি ঝুলছে
রঙিন আলনায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন