গৌতম সাহা-র কবিতা

গৌতম সাহা-র কবিতা

আয়না

পার্কের বেঞ্চিতে একটা কলো দাগ
আমি বসতে গিয়েছি
হঠাৎ আমার মাথা ভোঁ করে
ঘুরে গেল
এই কলো দাগকে আমার
কলশিটে মনে হল
যা আমার পিঠে আজও
লেগে আছে
আমি প্রায় একথাটা ভুলেই গিয়েছিলাম
এই দাগ
সেটা মনে করিয়ে দিল


প্রসাদ

একবারই
মাত্র একবারই
কবি অরুণ মিত্রের সঙ্গে আমার
দেখা হয়েছিল
প্রণাম করেছিলাম বেশ মনে আছে
জিজ্ঞাসা করেছিলেন - কী লেখো
আমি ইতঃস্তত হয়ে বলেছিলাম - কবিতা
তিনি বলেছিলেন - কবিতায় দীর্ঘজীবী হও

 
 
যে পারে সে পারে
(উৎসর্গ - শুভদীপ সেনশর্মা)

যে কোনো কাজ সবাই পারেনা
পারার কথাও নয়
একটি মানুষ অন্য মানুষের থেকে ভিন্ন
একটি কাজ অন্য কাজের থেকে ভিন্ন
আবার যে পারে সে পারে
একজনই তিনশো সাতষট্টি রকমের
গোলাপ ফুটিয়েছেন
জামশেদপুরে এ আমার স্বচক্ষে দেখা


ফাঁস

দূরের কথা মনে হলেই
তোমার কথা মনে পড়ে
মায়ার কথা মনে হলেই
তোমার কথা মনে পড়ে
নিকোনো উঠোনের কথা মনে হলেই
তোমার কথা মনে পড়ে
কে তুমি
বড়ো একা হয়ে সেই থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছ

        
ক্রান্তিকাল

জামলো মকদম বলে কেউ কখনও ছিল না
আপনারা ভুল বলছেন
আপনারা ভুল জেনেছেন
সে পায়ে হেঁটে ফিরতে চেয়েছিল ঠিকই
সে আর বাড়ি ফিরতে আসবে না জেনেও
বলা যায় এমন নামে কেউ কখনও ছিল না
আর না থাকলেও কী যায় আসে
 
 
কিন্তু সে ও পারত একদিন এই
দেশকে সোনা এনে দিতে
কিংবা দেশের অন্ধকার ঠেলে
মুক্তির পতাকা ওড়াতে
সে আর হলো না
তবু তার জন্য কোনো চোখের জল নেই
কোনো হাহাকার নেই
জামলো মকদম বলে কেউ
ছিল না কখনও

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন