শীর্ষা'র কবিতা
১
হাত বাড়িয়ে চাঁদ ধরতে যাওয়া পাগলটি জানে না চাঁদের কোনো ইচ্ছাশক্তি নেই। প্রবল অনিচ্ছাশক্তি চাঁদকে জিতিয়ে দেয় বরাবর।
শাস্তির কথা ভাবতে ভাবতে মাকড়সাটি জাল বুনে ফেলল। স্বামী-সন্তান-পরিবার সবাইকে বন্দী করবে ভেবে লালার ক্ষরণে ফুঁ দিয়েই চলেছে। এখন মাকড়সাটির অবস্থান জালের ঠিক মাঝখানে।
পৃথিবী গোল না চৌকো এই নিয়ে দুটি লোকের মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে। ওরা গোল এবং চৌকোর সংজ্ঞা ও প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছে একে অপরকে। ওদের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে নিউটন স্যার টুপ্ করে একটি আপেল ছুঁড়ে মারলেন।
ভাবনার মধ্যে যে পথটা আঁকা আছে, পাখিটি সেখানে কোন নুড়ি পাথর দেখতে পায়নি। পথে চলতে চলতে নুড়িপাথরের কর গুনে সে জানতে পারল ভাবনা একটি অন্ধ ভিখারির চশমামাত্র।
চাঁদ নাম যে সাদা শাঁখা বিক্রি করে নাম কিনেছে আকাশ, তার পায়ের কাছে সধবার ভিড় লেগে থাকে। চাঁদ কিনে বাড়ি ফিরে সধবা দ্যাখে গাছপাথরহীন ঠানদিদি চাঁদ সহযোগে পূর্ণিমার দুধ-খই খেতে বসেছে। আর কৃতজ্ঞতাহীন সাদাটে সোহাগ সধবা মালিককে ছেড়ে গিয়ে বিধবার গায়ে মাথায় চিকচিক করছে চিরন্তন।
মৃতমানুষের বাড়িতে কালো পোশাকের আনাগোনা দেখে এক বৈজ্ঞানিক রঙের গুরুত্ব খুঁজতে শুরু করলেন। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে বাড়ি ফেরার পথে বৈজ্ঞানিকটি দেখলেন – একটি কালো বেড়াল। রাস্তা পার হবে কি হবে না – গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন