আকাশ সাহা'র কবিতা

আকাশ সাহা'র কবিতা



চলে যাওয়া

 
আর কিছুসময় ঠিকঠাক তোমাদের ভিতরে থেকে গেলে পুরনো বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কেউ নির্জনতার কথা শুনাবে
 
কেউ উঠে চলে যাবে বহরমপুর গ্রামের শেষ মসজিদের কোনায়
 
কেউ হয়তো সুন্দর নৌকার ভিতরে এনে বসাবে পশ্চিমের চাঁদ
 
কেউ কখনো কারুর ছিলো না
 
পৃথিবীর এই একই ভুল বুঝতে পেরে কখন নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলেছি
 
আর কখন চলে যাওয়ার ভিতরে অজস্র শব্দ এসে তৈরি করেছে কাঠের জীবন
 
সে সমস্ত কথাই বলা হয়েছে এই নদী বহমান স্মৃতি উজ্জ্বলতার কাছে
 
আমার কথা আমাদের কথা অফুরন্ত আনন্দ অশ্রুপাতের কথা।



মায়ালন্ঠন নেই


এই যেমন পাতার ভিতরে, শব্দের ভিতরে, আদি অনন্তের ভিতরে
সেতার বাজে
রাগ ঢলে পরে
গগনচুম্বি লন্ঠন থেকে আলো এসে ফিরে যায়
 
তেমনই মৃত্যুর ভিতরে অদ্ভুত কিছু খেলা দেখতে পাই
দেখতে পাই একটি মুখ থেকে সরে যায় নিজেস্ব পর্দা
উন্মুক্ত হয়ে আসে মিথ্যে আস্বাদ
 
এখনই কী ফিরে যাবে ধুন এক্সপ্রেসে
কিংবা তিরুবন্তপুরম থেকে কেরালার পথ হয়ে ফিরে যেও নিজের বাড়ির পথে
 
কোন বাড়ির দিকেই বা যাবে তুমি?
 
কোন দরজার কাছে দাঁড়ালে আড়াল সরে যাবে একঝাঁক মায়া নিয়ে
 
আর কোনো চেতনার কথা বলিনা বহুদিন
যে ছিলো যে আসবে
সেতারের সুর থেকে ফিরে যাবে সমস্ত রাগ
 
যে ছিলো যে আসবে
পাতার ভিতরে, শব্দের ভিতরে, আদি অনন্তের ভিতরে
 
নিজের কিছু মায়া প্রকাশ করে যেও।
 

নৃত্য -সংসার ও শব্দ

 
মৃত্যুর পরে তোমার মুখে অদ্ভুত এক মায়া খেলা করে
জীবন কি এতটাই ছোট?
যে নীল পাথরের গল্প শুনে এসেছি সেই ছোটবেলা থেকে
আজ একা তার পাশে গিয়ে বসি
তুলে নিই জমিতে পড়ে থাকা শেষ বীজ
 
আরও কিছু পথ
মানুষের শেষ পথ কোথায় কেউ কি কখনো সত্যিই জেনেছে?
 
তবুও
মৃত্যুর পরে তোমার মুখে যে অদ্ভুত মায়া খেলা করে
 

এই অলৌকিক নৃত্য- সংসার থেকে তার শব্দ শোনা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন