সুদক্ষিণা'র কবিতা

সুদক্ষিণা'র কবিতা

পেনিলোপির চাদর

.
দাঁতের ডাক্তার ইস্পাতের ধারালো পাথর দিয়ে
যেভাবে গোড়া থেকে
দাঁত নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখায়,
খুঁচিয়ে তোলে ক্যাভিটি,
সেভাবে সংসারকে দেখতে ইচ্ছে করেমাঝবয়সে
পায়ের তলায় পাথর তার অনেক নিচেখাত
পাতা শিরশির করে।    
 
.
অসহায়ভাবে ভালোবাসো বলেইশ্বদন্তদেখাও
দুষ্টু শিশুদেবতার কৌতুকের মতো
আমাদের প্রেম, বিবাহ, সন্তান প্রতিপালন
দুইঘাতকরাশির-
 
.
এখন আপনার বয়স কত ম্যাডাম?
একটা সাময়ের পর মনে হবে
অনেক কিছুই অপব্যয় হয়ে গেল-
বুড়ো জ্যোতিষীর চোখে উলঙ্গ হয়ে,
 মনে মনে তাকেসহস্রশাপান্ত করি
শেষে তার কাছেই তাবিজ-কবজ গ্রহশান্তি --
ধর্ষণ পুনরাভিনীত হয়
 
.
নিমের ঝালর দেওয়া দক্ষিণের জানালা
আর কাচে তার উল্টো অথচ হুবহু প্রতিভাস
চোখ জুড়ে নিদ্রা এনে দেয়
কেউ একদিন গোড়া থেকে কেটে দেবে
নিমগাছ টুঁ শব্দও জানাবেনা
 
শুধু আমিই জানবো জঙ্গল জঙ্গল ছায়ার মায়া
আমি জানবঃ কি ছিল,কীঝরে গেল!
 
.
সব পাতাই মাটিতে পড়ে
তার আগে প্রত্যেকই খেলে নেয় যথেচ্ছ রান্নাবাটি
অফুরান সূর্যালোক, ক্লোরোফিল আর খনিজজল
কোনও কোনও পাতায় পোকা ধরে
তার রান্নাবাটির পরমান্নে পোড়া লেগে যায়
দুইইতাঁর অভিপ্রেত
আমার জন্য অন্য পথ বার করে দাও প্রিয়প্রভু
 
.
সবাই
রাগ দ্বেষ অসূয়া ভালোবাসা মহত্বের ধোঁয়া মেখে
কী ভরপুর বাঁচছে
ওই কাকটা ওইপাটেনে চলা ছেলেটা
 তাহলে এমন গ্রহণ লাগা সময়ে আমাদের দেখা হলো কেন?

 কেন তুমি হলে সিংহরাশি, পূর্বফাল্গুনীর?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন