দীপ্তি চক্রবর্তী'র কবিতা

দীপ্তি চক্রবর্তী'র কবিতা

নগরযাপন

অক্ষরে অক্ষরে সংলাপ হলে
মুছে যায় পৃথিবীর ঘাম
প্রিয় সকাল ঋতুমতী হয়
মৃতপ্রায় সংযমের রেশ কাটিয়ে ওঠে পোড়া নগর
ঘুরপথে ভ্রমণ হলেই বোঝা যায়
পাখি একটি সাহিত্যের সংকলন
ঝুড়ি নামা প্রাচীন গাছের এপার ওপার
নৌকারা কাছে এলে ভিজে যায়
সমস্ত উৎস থেকে হেঁটে আসা এলোচুল সকাল
 
 
এক টুকরো বরফ

 
জানালায় নামে অকাল বসন্ত
ভিজতে থাকে শালিকের বুক
প্লাটফর্মের দুই দিকে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে
ঝুলতে থাকে চড়ুই এর পরিত্যক্ত বাসা
অবাধ্য বৃষ্টি আকাশের বুক চিরে
নামতে থাকে অঝোর ধারে
দম দেওয়া ঘড়ির মতো
নিঝুম দুপুরে চাতকের কোলাহল
শুষে নিতে থাকে আমার সকালবেলার ক্লান্তি
 
 
 
অনুভব

 
পেট ভর্তি হলেই মুঠো খুলে যায়
কান্না থেমে যায়
অসীম আকাশ নীল সীমানা
জীবনের মধুর গান
দেখতে থাকি সবুজ গাছ
পেঁজা তুলোর মতো মেঘ
মুখে লেগে থাকে নিষ্পাপ হাসিটুকু
 
 
 
জলছবি


কথারা ছিঁড়ে খাচ্ছে আস্তিন সময়
ভেদ নেই অলিখিত অবসরের
টুকরো খবর নিঙড়ে নেয় অতলান্ত ভাতঘুম
ছেঁড়া কার্পেটে অবসাদের হাতঘড়ি
মেপে রাখে ধুলো মাখা পায়ের জলছবি
অবসরে চোখের তৃষ্ণা মেটাতে
গীতবিতান অথবা সঞ্চয়িতা
ডুবুড়ির মতো খুঁজে নিতে থাকি
অবশিষ্ট সময়ের আলগা মুক্তি
 
 
দুপুর


দুপুর এক ছোট্ট মেয়ে
এলো চুলে ঘাপটি মেরে
বসে থাকে চিলেকোঠার
একটি কোণে
ডাকি তাকে
দুপুর.. কোথায় গেলি...
খিলখিলিয়ে হেসে বলে
মেঘলা দিনে ঘুম ভাঙিয়ে
ঘুরে আসি চলো

তোমার হাতটি ধরে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন