সুলেখা সরকার-এর কবিতা
গৃহস্থের কাক
তুমি আসলেই ভালোবাসাবাসি হবে।
আলনার প্রতিটি শাড়ির ভাঁজে
ভালোবাসা লুকোচুরি খেলে।
তুমি আসলে তারই একটি শাড়ির ভাঁজ ভাঙবো।
স্লিভলেস রাস্তা
স্রোত হয়ে যাও পদ্মপাতার।
মুখের ছিঁটেফোঁটা জলে দেখব সব রং।
এমনটাই যদি হয় তবে
রাস্তার বাঁকে কথার উচ্ছ্বাস
মেলে দিক দেওয়াল চিত্র।
পতাকা উড়ুক।
যদি একা হেঁটে যেতে হয় অনেকটা পথ,
সিরাপের মতো গড়িয়ে যেতে হয় গলায়,
অলৌকিক যন্ত্রণায় মরে যাও বারবার,
তবে এ পথে স্লিভলেস হাঁটতে পারো।
এ রাস্তায় হাঁটে না কেউ।
জলের ছাদ
হঠাৎ চোখে থেমে যায় চাঁদ।
ধ্রুপদী জ্যোৎস্না জড়িয়ে নেয় কৃষিক্ষেত।
ভান্ডার হয়ে ওঠে কুঁড়েঘর।
ব্রা'হীন বুকের ভেতর শিশুরা ঢুকে পড়লে
নির্মলেন্দু কবিতা লেখে।
প্রেম জমা করে খোঁপায়
তারপর আলতো টানে সংসার খুলে গেলে
মাসকাবারির ক্ষত কাঁধে হাঁটে রিঙ্কলস।
বাবার কথা মনে পড়ে।
সুফি
গল্প পাল্টে যাচ্ছে
প্রিয়দর্শী কলোসেলে চোখ আঁকছে
আয়নার সামনে বুক খুলে খুঁজছে নিজেকে
হলুদ ধানের ভেতর যে মেয়েটি
কালসিটে লুকিয়ে রাখে রোজ,
রোজ রোজ হেরে গিয়ে গহবর গড়ে
তারপর চিৎকার করে বলে,
সঙ্গম চাই। বারবার চাই।
বার...বার।
তার পাশে গালে হাত দিয়ে প্রিয়দর্শী
প্রেমিকা খুঁজে পায়,
খিদে খুঁজে পায়,
সুফি গায় হাদিয়া হাসমি।
কবি সুলেখা সরকার এর কবিতায় মুগ্ধ, আরও লেখা পড়তে চাই l প্রতিটি কবিতা মুগ্ধ করে l ভীষণ শক্তিশালী কলম l
উত্তরমুছুনকবি সুলেখা সরকার এর কবিতায় মুগ্ধ, আরও লেখা পড়তে চাই l প্রতিটি কবিতা মুগ্ধ করে l ভীষণ শক্তিশালী কলম l
উত্তরমুছুন