মনোতোষ বৈরাগী
বাঁধন
হঠাৎ শালের দেশে না চাইতেই দেখা হয়ে গেলে
বিরোধী পলকে চোখ মূক ও বধির।
ধ্যান ভাঙে
হুঁশ ফেরে প্রিয় আজানের গানে, প্রহরীর ডাকে
এবং বিষম খেয়ে আত্মস্থ করেছি
এমনই দেরাজে তুমি বসে আছো কপাটিকা হয়ে
যেখানে প্রবেশ সোজা ফিরে আসা বড়োই কঠিন
কিশোরী
নিস্তব্ধ!
ঘুমিয়ে আছে বিবাগী হরিণ।
দু'চোখ স্নানের ছলে দুয়ারে এসেছি
আমি কৃপার বালক
কী সংকোচ হীন
বাঁধ ভাঙা এসেছে প্লাবন
এসো, হও ফুলরেনু
যেহেতু বিশেষ হেতু সাঁতার শিখিনি
এ'কূল ভাসিয়ে দাও অক্ষত শাসনে
স্রোত
আসন্ন দুপুরে
মাছেরা যে পথে হাঁটে সে পথে হেঁটেছ
অথচ ভাবতাম তুমিই আমার 'শব'
ওগো দরবেশী
ওগো খরস্রোতা, দেখো
পালকের ঘ্রাণ নিয়ে নেমে যাচ্ছে একঝাঁক
হাঁসের শাবক
সূর্যমুখি নদীটির কাছে
ওরা এসে জানাচ্ছে মিনতি;
সামনেই সঙ্গমস্থল, এবার কীভাবে বলো উৎসকুলে যাব!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন