নীলাদ্রি দেব-এর কবিতা
অন্য চৈত্রের কবিতা
এক.
উঠোন জুড়ে শুকনোপাতা
নতুন, ভীষণ নতুন কোন পাতার ওপর
সূর্য রঙের আলো
পুরনো ঘাস, শ্যাওলার গায়ে
গত জন্মের দাগ
দুই.
নত হলাম
নত
হিংসেগুলোও দাঁড়িয়ে আছে
ভালবাসার মত
তিন.
শুকনো মাটির ভাঁড়ে
অমলতাসের ফুল
দু'এক দানা সবুজ পাতা
এতটুকুই
যেন মুঠোর মধ্যে জীবন
চার.
ছায়ার ওপর ছায়া
তার ওপর আরও গভীর ছায়া
সূক্ষ্ম কোন আলো এখন...
অপেক্ষা
পাঁচ.
সীমানাপ্রাচীর উঁচু হচ্ছে
ভাগ হচ্ছে আলো এবং ছায়া
আলের পাশে সবটা নিয়েই
স্বচ্ছ আলপনা
ছয়.
এমন একটা আঁচড়
কাটতে চাইছি সবাই
জলের উপর স্পষ্ট, ইঁটে কিংবা ঘাসে
ক্ষতের পাশে হাত বোলাচ্ছে মা
সাত.
স্তর! এতেই ভুলে আছি
পৃথিবীও ভুলে গেছে ভালোবাসার
স্তর
আট.
ফাঁকা দোয়াতের মধ্যে দিয়ে
কতবার দেখেছি আবছা রঙিন রাত
ফ্যানের ব্লেড বারবার কেটেছে
স্থির ছবি
আজকাল সকালেও উড়ে বেড়ায়
পেঁচা
গান গায় নৈশপ্রহরী
স্পষ্ট হতে থাকে কয়েনের
তৃতীয়তল
নয়.
স্তব্ধ কাঠের কাপ, পাথরের বাটি
ভেতরের ধুলোবালি, পিঁপড়ের ডিম
একলা জীবনের পাশে কত কিছু
থাকে
তবু একা লাগে
দশ.
বন্দরে শব্দ এত! এত শব্দে
মিশে আছে কত জলপথ
মাস্তুল নোঙর জেটি সোয়েটার
রিংটোন
কত কথা বলা হয়, শব্দের স্থিরতা না জেনেই
গভীরতার বিশেষ কোন একক দেখিনি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন