তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
আমি এবং আমার

দ্বিধা পেরিয়ে

দ্বিধা থেকে সরে এসে দেখি
বিশ্বাসের গাছে ফুল ফুটে আছে।
ডানায় বাহারি রঙ নিয়ে
প্রজাপতি বারবার
নিবেদন করছে আকণ্ঠ প্রণয়।
ওই শুদ্ধ ছায়া আঁচলে ভরে
আমিও শুনতে পাচ্ছি মায়ের ঘুমপাড়ানি গান।
দেখতে পাচ্ছি,
দোলনা দুলছে চিরন্তন হাওয়ায়।

নির্বাক সাঁতার

যখন মুখর জ্যোৎস্নার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম
তখন ইস্কুল পোশাকের নীল রঙকে মনে হত আকাশের থেকেও নীল।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চাইতাম,
কেউ ছুঁয়ে দিক আঙুল।
রাস্তা পার করিয়ে দিয়ে কেউ বলুক,
'সাবধানে যাও!
ফিরে এস আরও সাবধানে।'

মুখর জ্যোৎস্নার দিকে হাত বাড়াতে বাড়াতে
এখন দাঁড়িয়ে পড়েছি বৃদ্ধ সমুদ্রের তীরে!
সাঁতার ছাড়া ওপারে পৌঁছানোর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।

প্রথম প্রেমিকের প্রতি

নারকেল পাতার ফাঁকে
তারাটিকে চেনা মনে হয়।
ও কি কখনো আমার সঙ্গে বুড়ি ছোঁয়া
খেলেছিল শিশুসুলভ মাঠে?

কখনো কচুরিপানা পুকুরে
আচমকা ছুঁয়ে দিয়েছিল স্তন?

ও কি সেই,
যে আমার খোঁপা
সাজিয়েছিল রাধাচূড়ার মালায়?

নারকেল পাতার ফাঁকে তারাটি,
মিলিয়ে যাচ্ছে!
এবং
সবাই বলাবলি করছে,
ও'ই হল প্রথম প্রেমিক,
সমস্ত কিশোরীই যাকে হারিয়ে ফেলে জীবনের তরুণী প্রত্যুষে।




২টি মন্তব্য: