পার্বতী রায়-এর কবিতা
শিকড়ের কান্না
একটা ঘুম থেকে আর একটা ঘুমে কীভাবে জড়িয়ে পড়ছি
কলরব থামছে না পাখিদের
একটার পর একটা নদীকথা ভাঙছে সময়ের নিক্কন
ফসলের কল্পনায় বেড়ে চলেছে
অন্তরের তাপ
আর কি হারাবে বৃক্ষ!
শহরের চোখে আঙুল তুলছে শিশু
একতল দ্বিতল একতরফা নামছে
মৃত কথাগুলি
এক পৃথিবী অন্ধকারে বিপদ গুনছে কবি
মাটির আত্মার ভেতর শিকড়ের কান্না তবু থামছে না
অসমাপ্ত
অসমাপ্ত কথার মোহজাল ঝরে পড়ছে
কীভাবে আঙুলে ধরে আছো সূর্য
অজস্র ঘন্টাধ্বনির ভেতর
!
আজ মেঘলা , পারবে কি হরিণ ফিরিয়ে দিতে !
পাহাড়ের পাদদেশে চাঁদ ডুবে গেছে
নীল নীল আলো চোখে
সীমান্তে ঝাঁক ঝাঁক কবিতারা বাসা বাঁধে কার অপেক্ষায়!
বিনম্র মাটির গান
আধপেয়ালা চায়ের সাথে
কীভাবে পান করছো !
অতল
কি হবে যদি না চেনার ভাণ করো
কি হবে যদি জল আগে ভালোবাসে নদীকে !
কি হবে আকাশের চাঁদ
যদি নেমে আসে শরীরের দীর্ঘ ছায়াপথে
বলোতো কোকিল কেন ডাকে
পাহারা দেয় চোখ নির্বিকার !
গাছকে সাক্ষী রেখে বাড়ছে ভালোবাসার আঙুল
অতল বলতে তোমাকেই বুঝি
অবনত
আলো আসার পর দৃশ্য গুলি পাল্টে পাল্টে যায়
স্মৃতির টানেল বেয়ে আশ্চর্য ভোর
অবনত গলা
কারা যেন মাটি খুঁটে খুঁটে খায় মাটির শরীর থেকে ভেজা রক্তের
দাগ
ভুল করে রেখে গেছে কেউ সূর্য গাছের পাতলা ডালে
পোশাক পুরানো হয়ে গেছে নদীর
জলাশয়ে কান পাতে না আর বক
সারা গায়ে মেঘ জমে আছে
মা বুঝেছিল ঝড় আসছে
দুরন্ত প্রবাহে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন