শীলা বিশ্বাস-এর কবিতা
মর্টগেজ
প্রতিটি ব্যর্থ লাইনের পাশে
একটি অনুভূতি মর্টগেজ রাখা আছে
অসম্পূর্ণ ছবির পিছুটান এক আশ্রয়
তাকে কখনও বলিনা
সম্পূর্ণতার খাপে বিচ্ছেদ লুকানো থাকে
অপুরাণ
হত্যালীলার আগে মুখ গুঁজে রেখেছিল পাথরে
পরে কাঁচা মাংস হয়ে ঝুলে আছে অবয়ব নিয়ে
বিপ্লব কিছু ঘটে যাবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল
যন্ত্রণা ও বারুদ-আগুন পুষে রাখা বুক
সময়ে জ্বলে উঠতে না পেরে ছড়িয়ে গেছে ঈশ্বরের লাশ
আলোচাষি
ভোররাত্রে যে মায়াময় অক্ষরেখায় ছিলাম সে এক আলোদ্বীপ
যেখানে জ্যোৎস্নারা কবিতা লেখে উড়োজাহাজের গায়ে
আলোচাষি লিখিত হাতচিঠির গা থেকে ঝুর ঝুর
খসে পড়ে সিলমোহর লাগানো ডাকটিকিট
সাবানের গন্ধমাদকতায় ফেনাময় মোহময়ী হয়ে উঠে
বিজ্ঞাপনের মেয়েরা ছড়িয়ে যায় আনারদানা
সোনাঝুরির উড়ন্ত প্রেমপরাগ পেরিয়ে যায় গ্রামীনরেখা
প্রান্তরের দিকচক্রবালে তাঁতিরা বোনে রোদপোশাক
ব্যক্তিগত বন্দরে
এখন আর শিল কাটাবে বলে হাঁক দেয় না কেউ তবু জীবনের গতিপথে একজন শিল-কাটাও লাগে। মায়াবী জ্বর ছেড়ে গেলে শিল কাটানো ত্বক থেকেই স্বর্ণঝিন্টি আলো পিছলে যায় অক্ষরের বুকে। একটা ঘটিগরম বিকেল অথবা দইফুচকা সন্ধ্যা এক অরণ্য নির্জন সবুজ অলিন্দে খেলা করে। এপিঠ ওপিঠ অক্ষর সেঁকে নিই বুকের আখায় তারপর ছড়িয়ে দিই গাছের হলুদ পাতায়।
অন্ধকারের জানালায় আলোর বোতাম এঁকে প্রবেশ করি ব্যক্তিগত বন্দরে। সেখানে সাজানো পঞ্চমুন্ডির আসন। ধুনি জ্বালা গহীন আর রবিশস্যে চোখ রেখে নিজেকে নিজে দেখবো বলে সরে এসে বসি। দেখি আমারই মতো কেউ রেশমগুটি থেকে সুতো খুলে বুনে নিচ্ছে নিজস্ব পৃথিবী।
ভালো
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনজীবনবোধের বিস্তার চোখে পড়ে
উত্তরমুছুনভালোবাসা নিও দেবযানীদি
মুছুননতুন নতুন খোঁজ দিচ্ছে কবিতার শব্দ।
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
উত্তরমুছুনভালো, ভাবনাগুলো ডানামেলছে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনapurbo Sundar shabda bandhan,
উত্তরমুছুনbyaktigato bandore bichhed lukono sampurnata niye, porag premer rodposak jano haatchithir daaktikit nijey eswarer mukhe biplab.
asadharan
ধন্যবাদ
মুছুন