সৌমী আচার্য্য'র কবিতা

সৌমী আচার্য্য'র কবিতা 

নিঃশর্ত

আজানগলে আসা সকালের রোদ আর দাদির কপালে চন্দন

সেখানেই শ‍্যাওলা পথে দাঁড়িয়ে বৈধব‍্য সময়

ভুলে যাবো থ‍্যাঁতলানো ঘাম শরীরের খিদে

চেনা গল্প বদলে ঘুড়ির মতো সুখ রাখবো পায়ে

পাচাটা জিভে ফেরাতে পারো যদি শ্লোগানের বিশ্বাস

উষ্ণতার নরমে সঁপে দেবো নিজেকে মীরার মতো

দিলমাঙ্গেমোর

বৃষ্টি দিলে ক‍্যাভেন্টার্স ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠোঁটে

দু একটা রঙতুলি আঁচড়

অকারণ আলসে গড়িয়ে বিষন্ন বিকেল

কলিংবেল পলাতক সাথে আগন্তুক হাসিও

আমি তুমি পরপর ভালোবাসা নিখাদ

খাদের গভীরে ঝুলবারান্দার টান

দুমিনিট নীরবতা প্লিজ

উড়তে চাওয়া মেঘেরা ভেঙে পড়ছে

শোকবার্তায় শরীর ছুঁয়ে ভিজছে টুকিটাকি প্রয়োজন

এবারের বৃষ্টিতে হঠাৎ বাসস্টপে ডেনিম ব্লু

এলোমেলো চুল আর বিটকেল এলোপাথাড়ি হাসি

রাহুর মতো চেপে বসা সংসার

ঘষা কাঁচে সাটিয়ে কাদা ঘাঁটবো পায়ে

বাই দ‍্যা ওয়ে আপনি আজ কোন পথে?

আড়াল

যে পথটা গভীর হয়ে কুয়াশা মেখে

হারিয়ে গেছে,

একটা কথা সে পথটাতেই একলা হয়ে

আজো আছে।

নিঝুম ক্ষত লুকিয়ে রাখে যে মেয়েটা

সুখের কোণে,

জ্বলছে আগুণ ধিকিধিকি তারই কেবল

আপন মনে।

বৃষ্টি নামে শরীর জুড়ে অবৈধ এক

রাতের বেলা,

একটি রাতের ঋণের ভারে ফুরিয়ে চলে

প্রেমের খেলা।

নীল তারারা উদাস হয়ে পাহাড় চূড়ায়

ঘুমিয়ে পরে,

সেই মেয়েটা স্বপ্ন বোনে ক্লান্ত চোখে

একলা ঘরে।

দৃশ‍্যপট

মেঘ এখানে এসে অন্যমনস্ক হয়ে যায়

চিনারের রঙে মুখ মোছে শোক

খড়িওঠা গোলাপি ঠোঁট চোখ দূর নীলে

ধোঁয়া ওঠা চায়ে ডোবে অসুখ স্বপ্ন

এখানে...

পায়ে হেঁটে পথ ফেরেনা আর ভীড়ে

বরফকুচি চিবুকে ছুঁয়ে থাকে দামাল প্রেমিক

স্পর্ধায় ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝলমলে রোদে

মুখ দেখে দুধেল পাহাড় ঝিরিঝিরি জলে

পাইন ছুঁয়ে মন বিশল‍্যকরণী হয়ে ফোটে

এখানে...

মেঘ এখানে এসে অন‍্যমনস্ক হয়ে যায়

ঝিমধরা স্থির নদীর ঝরনা দেখে

সবুজ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বলা প্রগলভ্ সংলাপ

চুপকথার কুয়াশায় স্বভাব গম্ভীর মেঘের পদস্খলন

অন‍্যমনস্ক ভাবে বুকে মুখ গোঁজে ঝরনার

স্বপ্নের ভিতর 

ঘুমাইনি বহুদিন আমি অপেক্ষা সহজাত

গুলজার ঠোঁটে নিয়ে রাত চাদরে একা

হঠাৎ বৃষ্টি এলে ঝরে বুকের উপর

তোমার শব্দেরা, চাঁপাফুল হয়ে যাই রাতভর

ধোঁয়া ওঠা সাদা বালি ফুঁড়ে হাঁটাপথ নিয়মমতো

বাউলের একতারা অভ‍্যাস দেখা শোনা

হঠাৎ কৃষ্ণচূড়া রঙে চিলতে হাসির রেখা প্রেম আনে,কিশোরী হয়ে যাই এরপর

জরিবোনা আকাশের নরম নীলে ফাঁদ অবিকল

ক্লান্ত হাতে সেঁকে নেওয়া শরীর খিদে

হঠাৎ ঘুম নামে চোখ মুখ জুড়ে, চাঁদ আসে

রোজনামচায় জুড়ে যাও স্বপ্নের ভিতর