বঙ্কিম কুমার বর্মন-এর কবিতা
অরণ্যবেলা
বারান্দা জুড়ে থৈ থৈ গোধূলির মান অভিমান
মেয়েরোদ চুলে বিলি কাটে
রেডিওতে বেজে চলেছে বসন্ত সংগীত
অরণ্যবেলার ঘুমের এক হাঁটু জ্বরের ম্যাজিক
ধুয়ে দিচ্ছে গুহা আঙুলের ঈশ্বর ছাপ
মাটিতে বারবার চুম্বন রাখছে ক্লোরোফিল
ঠেলে দিচ্ছে বিবর্ণ ঝর্ণাতলা
আর বহু পুরুষসন্ধ্যার নক্সা এঁটে দেয় বায়ুতল ।
বাস্তুবাদ
পারদের চাপ বাড়ে বয়স্ক খিদের ভেতর
তাঁর ডালপালায় গড়িয়ে পড়ে অজস্র সোনালি চুম্বন
আয়ুহীন জলশস্যের সুতীব্র ভাঙা কান্না
টাঙিয়ে রাখে গাদাগাদা স্নানঘরের বিকল্প জামা কাপড়
এসবের দৃশ্যে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছে একতারা
কিভাবে হারিয়েছি পদে পদে শৈশববেলা
ও আমার ভালোবাসার শেকড়
ও আমার জন্মভূমির অবশেষ বাস্তুবাদ ।
জায়গা
ওভাবে ঘেঁষে বসলে দেশীয় পাখি মেঘভার করে থাকে
একটু মাঝখানে আকাশের স্পেস দাও
বন্ধুরা এখন সবাই পরষ্পরে সেতু সাজায়
দূরত্বের মাঝে মাঝে রাখে পার্কিং জোন
শুধু আমিই এসেছি এ মাঠে বাঁধভাঙা জলের বিশৃংখল অনুবাদ
জানি সময় রাখা দায় এ হাতে
যেহেতু পরিধি পেরোলে শেষে পড়ে থাকে বিয়োগ ফল
অঙ্কুরিত ছোলার অমরতা তুলে নিই খাতায়
পর পর নেমে আসে ঝুল বারান্দা
যা আমার ও আপনাদের বসার আড্ডার এক শব্দফল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন