অরণ্যা সরকারের কবিতা
কালোর কোরাস
তেষ্টাই ছিলনা কখনও
শুধু মীমাংসার প্রদর্শনী
মগজ মগজ খেলাধুলো
বিরহও প্রিয় পোষ্য, যে মধুর হল না
শর্তাবলীর ছায়ায় নিপুন জ্যোৎস্নাচাষ
টপকানোর তাড়া ছিল, ছিল শীর্ষ ডাক
সুফলা কৌশল নিয়ে গেছে ফসলবতী শ্লাঘায়
কথার দুরত্বে জমা গোসাঘর
বাতিল চশমার কাচে থমকানো ছবি
এসবও ছিল ধিকিধিকি
দৃষ্টি অসুখ নিয়ে জানাই হল না
অন্ধকার ফুটে ফুটে ফুল হয়ে গেছে
যেভাবে পাঠক্রম
একটা ঝুঁকে থাকার দিকে মারহাবা
কিছু ফেরার জন্য সুগভীর সাদা
আতর বাড়ন্ত হলে কোন অজুহাত ভাবা যাবে
দূরত্ব নিশান হাতে বনেদিয়ানায় ঢুকে পড়া যেতে পারে
বিস্ময় দিয়ে চাপা দেওয়াই যায় যা কিছু উতল
এইতো শূন্য চিবোতে চিবোতে বোতাম জমিয়ে রাখছে দিনকাল
এককোশী সম্ভাবনা সময় পেরচ্ছে দ্রুত
নিদান বসিয়ে রেখে স্থিতিরাও নিরুদ্দেশ
এভাবেই, এভাবেই দাগ মুছে দেবে দাগের সম্ভোগ
একটা উচ্চাশার দিকে কেয়াবাত
সব অতিক্রমের জন্য বৈভবের শিস
মধুভাষ
বিষের আলোটুকু থাকেই
জিভের কাঙালপনা চাই
ফেরত দেওয়া বালির গায়ে যে নদীদাগ
সেও তো নাছোড়পনাই
অন্ধকার পুরু করে তেমন হতে যদি
আহা, যদি তেমন ধুধু জমাতে সুপ্রকাশ
বাঁশির চিঠি খুলে পড়ে শোনাতাম বৃক্ষতাপ
সকাল হতে চাওয়া সেইসব নীরবতা---
রসুই
না জাগার মধ্যে শীতলপাটির ঘ্রাণ
আর সব অরুচিনাশক স্বাদ ফুটিয়েছে
আনমনা জিভের ব্যালকনি
এই যে মেঘপ্রলেপ, ঝুরো ঝুরো নীল
দূরে রাখে টোকো গন্ধ থেকে
চিমনির নিঃশ্বাস থেকে
দেয়ালচিত্রের প্রেমে মজে থাকে চোখ
পুড়ে উঠবার আগেই অবনত
ছলাৎ শব্দের কাছে
শিল্প হতে চেয়েও রন্ধন ভেসে যায়
সুললিত ত্রাণের তরলে
জিজ্ঞাসা
ছিন্নমুল গাছের ডালে, মৃত পাখিদের উদ্বেগ জমে জমে স্থির
মানুষের সংক্রমণে মানুষই যুদ্ধফসল
দৃশ্যের থাবার কাছে অসহায়
অসাড়তা আরাধ্য এবার
অনীহা গোপন অস্ত্র
গা থেকে খুবলে নিচ্ছে নিজেরই ছায়া
ছুঁড়ে দিচ্ছে দৃষ্টি সুখ, চেতনার কলকব্জা
ঘোলা জলে ভেসে যায় ধারালো ক্ষতের ভাষা
প্রতিবিম্বের খোঁজে ও বসে নেই হারমোনিয়াম দিন
বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকা, শুনছ
এই কি নির্বাচিত ভ্রমণের নির্দেশ ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন