শ্যামল শীল-এর কবিতা

শ্যামল শীল-এর কবিতা
 
দৈনন্দিন
 
খবরের কাগজ আমাকে খুলে পড়ে প্রত্যহ সকালে
শরীরের প্রতিটি নাট-বল্টু সাফসুফ করে দেয় বন্ধুবান্ধবেরা
কাকেরা বাল্যবন্ধু, আপদে বিপদে কাছে থাকে
শহরের তাপমাত্র প্রতিদিন বাড়ে পাঁচ ফুট করে
না-বলা কথারা সারাদিন খোঁচা দেয়
পর্দার আড়াল থেকে ডানা ছেঁটে ফেলতে
অপলক দৃষ্টিতে কেউ বসে আছে
পৃথিবীর চোখ যাকে দেখতে পায় না কোনোদিন
 
 
ছিঃ
 
ছিঃ, শব্দটি আপাতত সিলেবাসে নেই
দশক ডিঙিয়ে যারা চৌরাস্তার মোড় অব্দি গেছে
তারা কলম ও প্যাডের চর্চায় মগ্ন ইদানীং
একটি স্বতন্ত্র কবিতার মতো 
তাদের চোখ মুখ কমা, পূর্ণচ্ছেদহীন
ছিপ ফেলে দূরে বসে আছে খেলোয়াড়
গভীর জলের মাছ জলের গভীর থেকে
পুচ্ছ নেড়েচেড়ে বাইরের আবহাওয়া দেখে
সুযোগ বুঝে ঘাই মারে
 

সন্দেহের আওতায়

 
তুমি যে ঘোরতর সন্দেহের আওতার মধ্যে আছ
সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই
একে অপরকে সন্দেহ করতে করতেই
সন্ধ্যা নেমে আসে, রাত্রির গন্ধ পেয়ে
একদল কীটপতঙ্গেরা জড়ো হয়
অন্ধকারের গায়ে জোনাকিরা জলছবি আঁকে
প্রাত্যহিক পছন্দ অপছন্দগুলি
দুপুরবেলায় এসে দরজায় টোকা দেয়
 

জেনে রেখো
 
আহা কে বলেছে তোমার মাথার ভেতরে
সেঁকো বিষ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে ?
একক-দশক কিংবা অযুত-নিযুত নয়
খুঁত লুকিয়ে যারা স্বচ্ছ পরিধানে
ইতিউতি টোপ ফেলে ফিদিন ফিবছর
অতিশয় শ্যেন আর সুযোগ সন্ধানী
হাতের তালুকে উষ্ণ রাখে কৃত্রিম উপায়ে
কারো পৃষ্ঠদেশ নির্বাচন কোরে
জেনে রেখো পাতা ঝরে পড়বার মরশুম
ঠিক কখন ও কোথায় শুরু হবে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন