হত্যাদৃশ্য ও ফসিলকথা
১.
শুকনো কাঠের শিরাগুলি নদী হলে
আমি হলুদপাতার নৌকো মেঘনার জলে ভাসিয়ে দিতাম
এমনই লালচে বিকেলে..
এ শরীরের আগল খসে পড়লে
বিভক্ত ঋতুর ভাঁজে আকন্দফুলের কলির মতো তোমার মুখ
রেখে দেব, বহুযুগ পর শ্রেষ্ঠ যুবক পাণ্ডুলিপি খুলে দেখলে
প্রেমিকার মুখ আর তোমার হুবহু মিল খুঁজে পাবে
জন্মের কথাটি কতদিন গোপন থাকে
মৃগনাভির ঘ্রাণের মতো তোমার কথা ছড়াক
নদীর ঢেউ ছুঁয়ে সাগরের বুকে
এত আয়োজন পাতায় ফুলে
গাছেদের শরীরের বাদামি রঙে
কোনদিন কি মনে হয়নি
এরাও একদিন
তোমাকে ভালোবেসে
অপেক্ষার চাদরে মুড়ে রেখেছিল নিজেকে
বিকেলবেলার সে আলো রাতের তারাটির নীচে
উড়ন্ত মেঘেদের সাথে
একতারা বাজিয়ে চলে গেছে...
২.
আকাশে মাটির ছায়া দেখে গাছেরা ফিরে গেল পাতালে
চৌহদ্দির পর তো শুধু গহ্বরের হাঁ মুখ
ষোলকলার পরও পাত্র পূর্ণ হয় না
স্বপ্নদৃশ্যে ঝাঁপ দেওয়া নেকড়ে
অনয়াসে ছুঁতেও পারেনা আমাকে
তার মরচে পড়া নখরে আঁচড়ের শূন্যতা
লালায় স্তাবকের টুপটাপ হা পিত্যেশ
লেজ নাড়তে নাড়তে বনে ফিরে গেলে
যে গাছে উঠে বেঁচে যাই
তা আমার শরীরে বেড়ে ওঠা গতজন্মের মহুয়া
৩.
ঈষাণ কোনে মেঘ জমলে
বাবা বলতো ঠিক বৃষ্টি আসবে
আর আমি সকালেই ঢুকে পড়তাম পুরনো গর্তে
এও এক গর্ভ
পিঁপড়ের দল কামড়ে দিত দৃষ্টিপথ
সব খুলে নিয়ে যেত ওরাই সঞ্চয়ের জন্য
অন্ধ হয়ে যাওয়া কামনার ডিঙি শুধু হরিতকি বাগানে
ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়াত
সাল তারিখ মনে নেই
আমাদের পাড়ায় বৃষ্টি এলে মেয়েরা আঁচল দিত মাথায়
ঘুলঘুলি দিয়ে দেখতাম তারা উড়ে চলে যাচ্ছে মেঘেদের সাথে
পুকুরের ঘাট পেরিয়ে পরানের মাঠ ডিঙিয়ে
একটি সরিসৃপ হয়ে সে জন্ম পার করেছি
এখন ডানাগুটিয়ে লতাপাতার বাসায়
পুষেছি আলোছানাদের...
৪.
শুধু শব্দের কথাটি শব্দের হাতে তুলে দাও
জোনাকির খপ্পরে হলুদ আলো
হত্যার দৃশ্যে কাঠের তরবারি
পাতাচাদরে ধবধবে হোক সে উপবাস
শুধু ক্ষয়
একটি মারির জন্য উপযুক্ত হতে পারে না
আমি যে দাঁতালো ছুরিটি কিনে আনি তা দিয়ে
একটি আনারস কিংবা আপেলকে দুটুকরো করে
ফেলতে গিয়ে দেখি সাগরে আর মাটিতে
কাদের জীবাশ্ম দেখে
হত্যাদৃশ্যের নকল শিখছে মানুষ...
আমি হলুদপাতার নৌকো মেঘনার জলে ভাসিয়ে দিতাম
এমনই লালচে বিকেলে..
এ শরীরের আগল খসে পড়লে
বিভক্ত ঋতুর ভাঁজে আকন্দফুলের কলির মতো তোমার মুখ
রেখে দেব, বহুযুগ পর শ্রেষ্ঠ যুবক পাণ্ডুলিপি খুলে দেখলে
প্রেমিকার মুখ আর তোমার হুবহু মিল খুঁজে পাবে
জন্মের কথাটি কতদিন গোপন থাকে
মৃগনাভির ঘ্রাণের মতো তোমার কথা ছড়াক
নদীর ঢেউ ছুঁয়ে সাগরের বুকে
এত আয়োজন পাতায় ফুলে
গাছেদের শরীরের বাদামি রঙে
কোনদিন কি মনে হয়নি
এরাও একদিন
তোমাকে ভালোবেসে
অপেক্ষার চাদরে মুড়ে রেখেছিল নিজেকে
বিকেলবেলার সে আলো রাতের তারাটির নীচে
উড়ন্ত মেঘেদের সাথে
একতারা বাজিয়ে চলে গেছে...
২.
আকাশে মাটির ছায়া দেখে গাছেরা ফিরে গেল পাতালে
চৌহদ্দির পর তো শুধু গহ্বরের হাঁ মুখ
ষোলকলার পরও পাত্র পূর্ণ হয় না
স্বপ্নদৃশ্যে ঝাঁপ দেওয়া নেকড়ে
অনয়াসে ছুঁতেও পারেনা আমাকে
তার মরচে পড়া নখরে আঁচড়ের শূন্যতা
লালায় স্তাবকের টুপটাপ হা পিত্যেশ
লেজ নাড়তে নাড়তে বনে ফিরে গেলে
যে গাছে উঠে বেঁচে যাই
তা আমার শরীরে বেড়ে ওঠা গতজন্মের মহুয়া
৩.
ঈষাণ কোনে মেঘ জমলে
বাবা বলতো ঠিক বৃষ্টি আসবে
আর আমি সকালেই ঢুকে পড়তাম পুরনো গর্তে
এও এক গর্ভ
পিঁপড়ের দল কামড়ে দিত দৃষ্টিপথ
সব খুলে নিয়ে যেত ওরাই সঞ্চয়ের জন্য
অন্ধ হয়ে যাওয়া কামনার ডিঙি শুধু হরিতকি বাগানে
ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়াত
সাল তারিখ মনে নেই
আমাদের পাড়ায় বৃষ্টি এলে মেয়েরা আঁচল দিত মাথায়
ঘুলঘুলি দিয়ে দেখতাম তারা উড়ে চলে যাচ্ছে মেঘেদের সাথে
পুকুরের ঘাট পেরিয়ে পরানের মাঠ ডিঙিয়ে
একটি সরিসৃপ হয়ে সে জন্ম পার করেছি
এখন ডানাগুটিয়ে লতাপাতার বাসায়
পুষেছি আলোছানাদের...
৪.
শুধু শব্দের কথাটি শব্দের হাতে তুলে দাও
জোনাকির খপ্পরে হলুদ আলো
হত্যার দৃশ্যে কাঠের তরবারি
পাতাচাদরে ধবধবে হোক সে উপবাস
শুধু ক্ষয়
একটি মারির জন্য উপযুক্ত হতে পারে না
আমি যে দাঁতালো ছুরিটি কিনে আনি তা দিয়ে
একটি আনারস কিংবা আপেলকে দুটুকরো করে
ফেলতে গিয়ে দেখি সাগরে আর মাটিতে
কাদের জীবাশ্ম দেখে
হত্যাদৃশ্যের নকল শিখছে মানুষ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন