অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা

অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা


 সম্পাদকের সীমানায় ব্রতকথা পড়ছে
 
                   স্বপ্নের ভিতর গনতান্ত্রিক না-পাওয়াগুলো সমিতি গঠন করা সুরু করেদিয়েছে।
৫:৪৫ এর লাইভে অনেক কবিতা পাঠ কুড়মুড়ে মিথুনরাশি হয়ে ডাটাপ্যাক, ফেসপ্যাক এবং
                             পরে হার্ডকপি হয়ে সম্পাদকের সীমানায় ব্রতকথা পড়ছে।
 
অবশেষে এগুলো হচ্ছে, আর মেল আসছে। পাসওয়ার্ড হারিয়ে যাচ্ছে। শব্দেরা জানালার পাশে স্যাঁতস্যাঁতে দাঁড়িয়ে। তারও বিপরীতে জিরো to hemoglobin সমস্ত মানবিকযুগ বিপ্লবী হয়ে কাছে আরও ১টু কাছে
                                                         সংগীতময় হয়ে আসছে__
 
 
অসুস্থতায় ভুগছে নাজেহাল প্রতিবাদী ভোকালস্বর

 
সারাটা গিরেবাঁজুড়ে সংসারের ছোপ লেগে রয়েছে | চুলে কেলাস জমেছে মৃত অক্ষরকোষের |
  সারাক্ষণ জিভ থেকে স্কোয়ামাস ট্যালট্যাল করে ঝরে পড়ছে | পুরুষের কোমরে মিয়ানো স্বত্ত্বা টুকে রেখেছে শরীরের আধখাওয়া চেসমি গন্ধ | 
          নোংরা জমে জমে অসুস্থতায় ভুগছে নাজেহাল প্রতিবাদী ভোকালস্বর_
 
চারিদিকে শুধু তালি তাপ্পা দিচ্ছে পরিযায়ী বিকেলের অবয়বগত অবান্তর যতিচিহ্নহীন আবদার___
          কখনো গাছে | কখনো চরিত্রে | এমনকি মামনির ছঁড়া বয়সের পিছনে |
 
          হে পাঠক অমায়িকভাবে অস্বীকার করবো তুলতুলে খিচিমিচি, ব্যাহেকি ব্যাহেকি ঘুমের অগোচরে খেঁকি কুকুরের ইনিয়েবিনিয়ে  গুস্সাই হানা দিচ্ছে;
                             তবুও খোলো | সব হোশিয়ারি পোশাক খুলে নামিয়ে রাখো পশ্চিম দেয়ালের গোঁড়ায় _
                             কারণ ওদের গায়েও অসম্ভব বাসি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধ-গন্ধ__
 
 

সামনের আ-বাল বয়স্ক মানামানি নেই!

 
 অন্তর্বাসের ভিতর মারাত্মক গ্রীষ্মের দুপুর। বর্ষাকালের কিসিং সিন। প্রবল খিদে। তারপর খাদের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনুবাদের বিকেল।
 
কী মারাত্মকভাবে আজ রপট যায়ে তো বাজছে আর এ,ওর গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার, সামনের আ-বাল বয়স্ক মানামানি নেই!
 
          হিংসা আর ২-হাজার বিষের ভিতর ডাসালো দূরত্বগুলো প্রথমে বিছানার বর্গচৌহদ্দিতে। তারপর নখের বেয়ারাপনায় । আরো পরে জানালার হাটখোলা পাশে মাউথঅর্গান থেকে মুখখারাপ করা শব্দচ্চারণ ব্লাউজ,  নাভি, তারও ১টু নিচের জমিনে চাপা পড়ে যাওয়া কতো প্রত্ন সভ্যতা।
 
                   এই তথ্য সংরক্ষণের জন্য খাটের তলায় জমে থাকা ভাঙা এবং অগোছালো রাতযাপনের কথা। টিনের চালার তলায় কোমর বেঁধে খাদ্য আন্দোলনের কথা। এই প্রাণপন খিদের ভিতরে ১টি পতঙ্গভুক ইনসুইং গ্যালপ করছে খাতার দাড়ি, কমা থেকে আন্ডার বেল্ট অবধি___
 
 

 ১টি হ্যালুসিনাইজড্ পর্দা


 
মনটাও আজ দীর্ঘ বৃক্ষের ভাববাচক বিশেষ্যের তীব্রতা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে চলেছে আর
খাতার মাঝখানে প্রবল অন্ধকার গর্ভবতী চৈত্রের অর্থনৈতিক দুপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ...
 
বোধ আর বুদ্ধির মাঝে প্লাবিত হয় গভীরতম অসুখ
  উদ্ভিদের ছায়ায় জিভের টসটসানি
  বেনিআসহকলার ঠিক পিছনেই বরফের বর্ণমালা
  বাই-সাইকেলের বেল লৌকিকতার ছায়ায় দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করে
 
 
কান্না আসছে ঘড়ির কাঁটা ধরে, তার পাশদিয়ে নির্বোধ স্যান্ডোগেঞ্জির ভিতর আমার কবিতার গ্রামীন জন্মদিন বিছানার ম্রিয়মান একাকিত্বে অরাজনৈতিকভাবে ডুবে যাচ্ছে _
 
          একান্নবর্তী শরীরের প্রতীক্ষার প্রতিচ্ছবিতে মাল্যদান করা হচ্ছে ১টি হ্যালুসিনাইজড্ পর্দার সামনে_

 
মুখ তুলেছে এলোকেশী আয়না

 
জিভ থেকে  জীবনের বিন্দু বিন্দু এপিসোডগুলো গতিবেগহীন হয়ে ঝরে পড়ে অন্ধকারে, 
পটভূমির  বাঁ-পাশে উচ্চস্বরে মুখ তুলেছে এলোকেশী আয়না
ওখানে
ঘাম আর পারফিউম বিচিত্র শয্যা ত্যাগ করছে_
 
আজ তো ১৮ই অক্টোবর। রাত ১১:৫৫-র পিছনে পুরিওয়ালা ট্রেন এসে গ্যালো , হাওড়া থেকে হলিডে
 
সমুদ্র, জল হয়ে লুকোতে চায় সমীকরণের ভিতর। যেখানে প্রবহমান নীল নদীজলটুকু মানচিত্রের ভিতরে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে।
 

তৈরি হয়ে গ্যাছে আলো-কে অতিক্রম করা মেরি গো রাউন্ড——

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন