টুকরো কবিতা
১
খাঁজের করাতে জল কাকে যে ডাকছে। সেই ডাকনাম
দুদিকেই পাখি। রেখার হাঁসুলি। লাল পরিখার শব
পায়ের গোধূলি থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো নিসর্গের শিস
জিভে তামার বিদ্যুৎ। সাপও হাসছে
লেফাফার শীত শুধু জ্যোৎস্নাবর্বর। আর চোখের খোলস
২
হ্যাঁ দিয়ে না-এর সিঁড়িতে পেরেক পুঁতছে কোনও বিন্দুবিসর্গ
তাওয়ার জ্যোৎস্না ভাজে খুলির অর্ধেক
অর্ধেক সমুদ্রকেলি। লাভার গমক
৩
কচুরিপানার বোবা জলকে দোলাচ্ছে। এই শোক
কোপের আঙুলে ফোটা কোপের শালুক
ঝুমকোর তুমিও কাটা, মুণ্ডসাধনার একপেশে
খুলির অবিবেচক জিভ হিসহিসে গোয়েন্দাপ্রবল
৪
তিল থেকে ত্রিতাল হচ্ছে আঁতে-বোনা প্রশান্তসাগর
ঘুমের বেগুনি কেটে গাঁইতিকোদালসহ দূত
ধড়ের নিসর্গে জুড়ে মুণ্ডের লাল হাসি ভোরের পারদ
৫
চিমটে-খোঁচান এই সূর্যাস্তে তুমি বরফনতুন
গানের কলেও ছিলে পিনের আত্মায় নেভা দেশ
৬
ইশারা চোখের কল। মাংস কোঁচাচ্ছে। মেশিননিশ্চুপ
বিবাহবর্ষ খুলে পিঁপড়ে উড়ছে। আর সিঁড়ির সূর্যাস্ত
৭
ঝড়ের পোশাকে নেভা ময়ূর ডাকছে। এই দেশরাগ
গানের শ্রাবণ শুধু মরচে আহ্বান। হত্যাসুদূর
৮
গানের দো-নলা থেকে পাখি ছুড়ি
পাখির পিতল ওড়ে সিঁধকাটা লোহার আকাশে
৯
বুজে যাওয়া এই ঘর জ্বালাতে এসেছে ছুটি
এস
খাসা। রসদমূলক।
উত্তরমুছুনবাহ্।
উত্তরমুছুন