মানিক সাহা'র কবিতা
মায়াটান
ক।ঘুম আসে৷
আলো নিভে যাক৷
আলোর স্পর্শ পেলে স্বপ্নের মুগ্ধতা
নষ্ট হয়ে যায়।
খ।
মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাই
আমারই স্বরূপ সে, আমার মতোই ব্যাভিচারী!
মৃতদেহ কাঁধে নিই
ছড়িয়ে দিই পাড়ানীর কড়ি ও আকাঙ্ক্ষা-সঞ্চিত সব খই
এই জমকালো পোষাকের দেহ মোহ ও মায়া নিয়ন্ত্রিত
আলো বোঝে, জল বোঝে
আড়াল ও সত্য বোঝেনা!
গ।
জলের গমক শুনি
তার স্রোত ছুঁয়ে মেঘ ও ছায়ারা ভেসে যায়
জলের অপর দেহে
রূপশালী, গাংচিল, আঁড়বাঁশি, অর্থহীন ঢেউ...
এখানে মরণ হলে স্বপ্নের নারীরা এসে
মুগ্ধচোখে লালন শোনায়।
ঘ।
ছায়া কি কখনো স্বপ্নের কথা ভাবে?
সন্ধ্যার আলো জ্বললে
পাখিদের গায়ে দেবতার ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
যে-মানুষ পাখি পোষে, নিয়মিত সন্ধাহ্নিক করে
তাকে যদি গুম করো, উড়িয়ে দাও অন্য কোন
আকাশের দিকে
সন্ধ্যার তাতে কিছু যাবে-আসবে না -
শুধু তার ছায়াটুকু রাতের শব্দ হয়ে
পাখিদের স্বপ্ন ভেঙে দেবে।
ঙ।
যেকোন বাজারে কিছু সৎ ও অসৎ মানুষ বসবাস করে
ধরো, তুমি সেইসব মানুষের হিসেবের নিয়ম জানো না
অথচ তাদের সাথে প্রত্যহ যোগাযোগ হয়
যদিও সে-যোগাযোগ ফড়িঙের মতো ক্ষণ-জীবী
অথচ তাদের দোষ ও গুণের সাথে মিশে তুমিও কখন যেন
বাজারের আবছা আলোয় মিশে যাবে
টের পাবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন