রিমি দের কবিতা

রিমি দের কবিতা

নেতা ধোপানি
 
কিছু কিছু সাপ নিজেদের অজান্তেই বিষ ঢেলে দেয়
তারপর বিষগুলো একসময়ে বহুল প্রচারিত হয়ে যায়
ধূসর  অসুখবোধ আরো গাঢ় হতে থাকে মানুষের
সাপেদের কীর্তি -কলাপ প্রকাশিত হয়ে গেলে
ভীতদের দল  ভেবে নেয় তাদের আর হারাবার কিছুই নেই,মৃত্যুর মতো কিছু একটা অপেক্ষমাণ !
 
ইতিহাস বলে  প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি পেয়ে গেলে একসময়ে বিষ লঘু হতে হতে তীব্রতা হারিয়ে  ফেলে 
 
কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে পাকানো কুন্ডলী বিষাদে মুখ লুকোতে থাকে একটু একটু করে তীক্ষ্ম চতুরের মতো
শ্যাওলা  ও শিশির  মেশানো  প্রথম শিহরের বিমূর্ত ডানা মেলে পুনরায় আহ্লাদ আহোরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
 
অমৃতরসও ধীরেসুস্থে ওর বিতর্কিত বিষদাঁত প্রদর্শনের জন্য  তৈরি  হতে থাকে...
 
 
বৃন্দাবন
 
তুলসীপাতা নিয়ে ইদানিং বেশ কিছু কবিসভা  হয়ে গেছে
 
আসলে ধোয়া কিংবা আধোয়া যাই হোকনা কেন তুলসীপাতা ধর্ম এবং জিরাফ দুটোরই
 
উনি একটি মিথ
আবার ডিমিথও বটে!


মা

রক্ত ও নিশ্বাস দিয়ে আউটলাইন এঁকে ফেলি প্রথমে
তারপর আকাশ ও মেঘ থেকে কয়েক মুঠো এনে
ছড়িয়ে দেই বুকের উপর
এরপর রক্তজবা ও ক্ষেতসহ ধানগাছ ছিটিয়ে দিতেই
 ছবিটি একটি বৃক্ষ হয়ে যায়
তার দুটি  মায়া ভরা টুকটুকে লাল  ফল
ডালে ডালে কিচিরমিচির
সন্ধ্যারাগে বাড়ির প্রাচীর     লক্ষীমন্ত রূপ তার
 
নিয়মের নীতি মেনে
একদিন ঝড় আসে,গাছ ভাঙে,ফুটে ওঠে গোড়ার গলদ
দুটি ফল গড়াগড়ি খায় ডাল ও লতায়  পাতায়
আঘাতে আঘাতে এক ফল ছিন্ন হয়ে এলে
 
অন্য ফল বাঁকা হাসি হেসে বলে,'বোকা চলে ডালে ডালে,আমি চলি পাতায় পাতায় '
 
আমি আঁকিবুকি করি আঁকাবাঁকা পথে শূন্যখেলা ছুঁয়ে!
 
 
ঘুমের ভেতর

 
বাকিটুকুও  মুছে ফেলা হল
 
শূন্যে থেকেও না ছোঁয়ার কাছে চিহ্ন তুলে দেই
 
চিহ্ন মানে কোথাও কখনো আমার বিন্দুমাত্র আংশিক !
 
 
জেগে থাকা

এই আলোটিও মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল
 
ফাঁকি  ও ফাঁকের মাঝে তবু হাইফেন জেগে থাকে!

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন