মন্দিরা ঘোষ-এর কবিতা
১.
আমাকে নিয়েছো টেনে।জল আর শ্বাসের নির্মাণে।
নিয়েছো নামের অবয়বে।খেলাচ্ছলে ধরে আছো মাটি অথচ সে মাটি নয়-সরল অধিকার।মাঝখানে গান্ধর্বমেঘ, জলীয় আকাশ আর নির্মেদবায়ু।এসবও জরুরি ছিলো না পতনের আগে তবু শীতল স্রোতের লোভ স্থির অপলক বিনিময়।অক্ষরহীন বিভূতিতে পুড়ে যায় জন্মসমাধি।
২.
ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায় বিটপের কোশকলা।নিপুণ আড়াল যেভাবে, ইত্যাদি, এবং শারীরবৃত্তীয় কাজ।আলো জানে,জানে পাতার শ্বসন।
সঞ্চার ফেলে রাখো বসন্তের বারান্দায়।নিমফুলের গন্ধে সবুজমাঠের আত্মা।ঘাসজন্ম শিশিরে কুড়িয়ে রাখে নাম। পাখির কোটরে ফুটে ওঠে গৃহকুসুম।মেঘ নেমে আসে মগ্ন সঙ্গমের নিচে।থই থই বৃষ্টিঢেউ,মাটি ও সবুজের মাঝে স্থির অপলক বিনিময়।
৩.
এই নিথর খয়েরি সবুজের নামে আমাকে টেনেছো তুমি আজন্ম সুখ মগ্নরতির কাছে।যাবতীয় পাতার মুখর,পাখির অন্তরাল,চেনা চেনা জ্বরের কৈশোর, আমার বাকলমুগ্ধতা গেঁথে নিয়েছো জাইলেম জালিকায়।প্রবনতা দিয়ে স্থির এক অপলক আমাদেরই মাঝে শূন্য অবলীলায়।
৪.
ছায়ারা চরিত্র লেখে।আলোর গোত্রে মেলে
দেয় দুপুরের সেলাইগান।তুমিও প্রসূতি লেখো, যত্নশেকলে রাখো উনুনগন্ধ শরীর । মোচনে বিরহ ঝরাও, লিখে নাও নাম।আমিও নামহারা ছায়া ছায়া দুপুরমুগ্ধতা। আমাদের মাঝে তবু স্থির অপলক।
৫.
এ বাকলবিলাস,বিভাজিকা কোণ, ঋতুগর্ভে পাখির নিষেক,
সহস্র নামাল ছুঁয়ে মাটির বিবিক্তি আঁকা জরায়ুভূগোল , শেকড়ে রেখেছো বেঁধে অযুত মনষ্কাম আমার।
গিঁটে গিঁটে লেখা আছে কামনাশিরীষ !
দ্যাখো,এ গর্ভ তো শুধু মাটি নয়, জল ও আকাশ।আমাদের মিলিত গৌরব।
আমাদের মাঝখানে স্থির দাম্পত্যের সবুজ অপলক।
ছায়া ছায়া দুপুর মুগ্ধতা .. পাঠক ও অপলক এই বিস্ময় নির্মাণে ..+919051269383 যদিও মেটাফোরের ও বিশেষণের আধিক্য পাঠ কে সহজ করে না ।
উত্তরমুছুনমনে রাখবো।ধন্যবাদ।
মুছুনপ্রত্যেকটি কবিতা মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতন। কবিকে ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা জানাই।
মুছুন