গমক্ষেতের আর্ত-কবিতা
সামকাম
আমি এমন করে উঠে বসলে বেশি কিছু দেখতে পাইনা। বাড়ি এমন ফাঁকা করে আমার যে সদিচ্ছাগুলো চলে গেছে, তা আর ফেরেনি। অথচ আমার একটা লোক ছিল, যে খাইয়ে দিত অসুখ হলে। আদিমতর পিপাসা মেটাতো প্রথাগত চুম্বনে।
দুটো ছেলে ওই যে গমক্ষেতে গেছিল, প্রথা মেনে একজনই ফিরেছিল। আর একজনের খবর আমাকে জিজ্ঞেস করেনি কেউ...
বাল্যপ্রেম
অথচ আমি ভেলভেটের মতো নরম ছিলাম না। তবুও ওকে নিয়ে গেছিলাম আলপথ বেয়ে। গমরঙা শরীর , অবশেষের ঘামে হয়ে উঠেছিল বাবুই-বাসার মতো। আলপথের ধারে গজিয়ে ওঠা একটা রুগ্ন শরীরের গাছ দেখেছিল, মেয়েটার ঊরুর ভাজেঁ আমার গোলাপচারা বপন।
তারপর চারিদিকে চর্যাপদের ভাষার মতো সন্ধ্যাকালীন মেঘ ঘনিয়েছিল। তাতে থাকা অনিশ্চয়তা আমাকে চিনিয়েছিল শ্রাবণমাসিক অপরাধ ...
পরিনতি
এক, দুই, তিন করে আমার কবিতা কৈশোর পেরোলো। পেরোলো সাংসারিক ধ্যান-ধারণার মাত্রা। আমার কবিতার পত্নীবিয়োগ হল। হেজে গিয়ে তৈরী হল ক্ষত, মাংসপিন্ড হাড়গোড় থেকে হয়ে পড়লো আলগা। কবিত্ব হলো মোহনামুখী...
মোহনা তে সকল কবিতার অপমৃত্যু। তার আগে সব কবিতাই মৃত্যুগামী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন