অর্কায়ন বসুর কবিতা
জার্নি
এই ফিকশনাল কফিশপ,আর তার
হলদেটে তলপেট
বকের গা থেকে সহজ রং গলে পড়ে
কাপে-কাপে
এই ক্যাপেচিনো সন্ধের আগে
বাতাস মন্থর
চোখের কাজল।চশমা ভৌগোলিক
মুখোমুখি খুনসুটি, আব্দার,নতুন
রংবেরং ডানা
শ্যাওলা সমুদ্রে
সিলিং থেকে নেমে আসেন ফুলেল
ফ্যানার ফাদার
এই হোলি গ্রেইল কোয়েস্ট, এই
সম্ভাবনাময় ভোর
দুর্গম
তবু ক্যাফেইন অতিক্রম করে
গেলেই ক্রিমসন পৃথিবী
সবুজের ভেতর দীর্ঘ হয়ে আছে
বেল পড়ে অস্পষ্ট...
এই কি সংকেতে যত আবহবিকার
আর জ্বর যৌথ উৎসেচকে!
প্রত্নখনন
আপেলরঙের ভেতর স্বমেহনে হিমেল
কবির খাতা
দূরূহ জন্মের দাগ মেপে রাখে
ডাকবাংলো অলীক
এই শহর ফেলে গ্যাছে নির্জন
আস্তাবল
ইথিওপিয়ার ঘোড়া,তার খুরের
তলায় হারানো সভ্যতা,
ভুলে যাওয়া গ্রাম থেকে জল সরে
গেলে
বিচ্ছিন্ন মফস্বল!
অন্ধকার চার্চ,আলোর
গ্রেভইয়ার্ড আর তুরীয় নক্ষত্র যত
গমক্ষেতে,বাদামি
ঝুরির গাছ ঝুলে আছে শ্যাম্পেনে,
আর এই সাররিয়াল আঙুল
ফুটে আছে ফেননিভ ঢেউয়ের নিচে
মোনালি অন্ধকারে
ব্যর্থ!
স্লো মোশনের রাত!অথবা অস্বচ্ছ
দিন।ক্লান্ত বিছানা।
স্তরীভূত অন্ধকার,গাঢ়
বাদামি,চকলেট বা পার্পলইশারা,
ঘুমআস্তরণ...
তোমাকে ছুঁতে চেয়ে বিরহনিবিড়
ছায়াপথে তলিয়ে গিয়েছি
অজান্তেই,সুবর্ণরেখা
তবু চাঁদ এই মিহি হয়ে আসে তলজ
সোঁতায়,এমন অশ্রু
লুব্ধক পেরিয়ে কোনো এক নভোচর
গ্যালাক্সির নিচে
ফোঁটা ফোঁটা সান্দ্র জেলিতে
নাক্ষত্রক
শতভিষা
কোকেনদগ্ধ আলো অথবা
হিমস্নিগ্ধ অন্ধকার!কী নামে
তার অমাবস্যা ফোটে? হলুদ নাভিতে...
আমিও জ্যোৎস্না মেখে থাকি
বিষাক্ত পৃথিবীর ফুটফুটে
স্তনে। এই আস্তিন থেকে উড়ে
যায় মেঘ... ভেজা গন্ধ
ছুঁয়ে থাকে শারীরিক
মাটি।যৌনকপোল
প্রতিটা গাছের গল্পে
ক্লোরোফিল সেই জীবনরেখা জানে,
সম্পৃক্ত এমন সবুজ... এমন দীঘল এক অনির্বাণ পথ...
দু'ধারে
ছড়িয়ে তার মুক্তি অগণন।
আলুথালু
আলতা পরা পা...
হাঙর
আশ্চর্য জলের ভেতর গলে যাচ্ছে
মাংসল গহ্বর
চামড়ার খোলাদাগ মসৃণ...
এই দীর্ঘ বীভৎসতা।এত অলংকার
মিশে আছে পুরু,
আচ্ছন্ন দ্বীপের নিচে ক্রুদ্ধ
তরল সেই আদিম সহচর
ভাঙা জাহাজের খোল... বিহ্বল ধোঁয়ার কুন্ডলী
মাংসপেশির থেকে ঘুম গিলে
সশব্দ ছায়ারা!
মুগ্ধ সামুদ্রিক...
এই ডুবোজীবন ছেনে বারবার ভেসে
ওঠা।এই দুর্ভেদ্য
জাগরণ...এই ঢেউদিন...সমস্ত
পৃথিবীর জলচরপার্বন...
নীল...
পিরিচে চুম্বকরেখা ভেদ করে
ফুটে আছে গভীর শরীর
ওই ধারালো আলোর শীৎকারে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন