আলোক মণ্ডল-এর কবিতা

আলোক মণ্ডল-এর কবিতা

প্রকৃষ্ট আলাপ

ক।
ভেবেছিলাম কবিতা লিখব
জলজ্যান্ত ডুমুরের মতো
তুমি শশা কেটে রাখবে,
পুকুর পাড়ে গুগলি খুঁজবে ঠোঁট
আঁকিবুঁকি
পাহাড়ের ওপরে ধোঁয়াশা মেঘ
ঢেকেছিল
ধোঁয়া উড়ছে,কার্বন ছড়াচ্ছে কত
বাতাসে,নাকবন্ধ শিশু

মায়ের হাতে ডাটা চচ্চড়ি খাই নি
কতদিন!

খ।
যদিও তোমার আঙুলে ব্যথা
চোখ খুঁজছে টাচস্ক্রীনে অবয়ব
অনেক মনীষার পর ভার্চুয়াল জীবন
তোমাকে স্বস্তি দিলেও
গৌরী আয়ুব এখনও সঈদ আবুর পাশে।

গ।
ছেলেরা খেলছে সবুজ মাঠে
পোকারাও খেলছে যে যার সঙ্গতে
পৃথিবীর সব চিন্তা যদি জানতো
ফ্রয়েড
কেন তবে ঘুরে মরে অণু চারপাশে?

ঘ।
সবটা মনোনিবেশ দিল না গাছ
শিকড়কে সব দান দিয়ে
ঘুমিয়ে পড়ল ক্লোরোফিল নিয়ে
আমার সবটা অনুভূতি শুধু গাছই জানল
জেনেছিল কিছু পুরানো পত্রের অক্ষর
চিল শুকুনের মতো উড়ে আসা ধ্রুপদী
ভাবনা গুলো।

ঙ।
একটা ফুটফুটে বাচ্চা কোলে তুলে
একটা মাতাল চুমু খেল
এটা কোন
বহুরৈখিক ছবির কিউবিক বিস্ময় নয়
পবিত্র বলে কিছু থাকল কি আড়ালে?

চ।
আড়াল আড়াল বলে কত ডাকছি
তুমি তখন সমস্ত ঢেকে কূয়োস্নান
বালতি জানল,পাখি ঠোঁটও
একটি কিশোর চোখ দেখেছিল
আদিগন্ত মাঠে তোমার সবুজ,
সবুজ কত রঙ বেরঙ চোখের
কথা বলল।

ছ।
দড়িতে ঝোলানো মৃত পাখির শোকগাথা
কখনই শ্লোক হোল না তারপর
সতত বিতংশে বাঁধা শহুরে আকাশ
চাঁদকেও ঢেকে দিল জাফরি ছেঁদায়।
জ।
ছেঁদা বল ছিদ্র বল দুর্বলতারই আর এক নাম
সেই পথে ঢুকে পড়ল কত নদী,ইঁদুর
কতকত চোরা আলো
সে সব আলোর কথা আকাশলীনা মেয়েটি জানে আর জানে
তার থ্রি কোয়াটার হাতের ব্লাউজ।

জ।
একটি রন্ধ্রপথ খোলা থাকে
পাথর জীবনে লেখা প্রত্নলিপির এইটুকু
অব্যয় পঙতিমালা

ঝ। 
শূণ্যতায় ভাসমান কথকথা
তারও থাকে নিরঙ্কুশ স্বৈরাচার
বিদ্যুৎ পীড়িত বুকে ধরে রাখে আগুন,
সব খায় তবু খেতে পারে না তার খিদে

ঞ।
বসে থাকলাম সব কিছু নিয়ে
চিন্তা গুলো জড় করে পুড়িয়ে
তাপ নিলাম,পোড়া গন্ধে
দু'দেশীয় যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি এল
বৃষ্টির মতো জঙ্গল মহলের পাতায়।

ট।
আমার জিভ সংযত,ঠোঁটও সংযত
তুমি বলতেই পারো আনস্মার্ট
জিন্স ভেদ করে হাঁটু দেখলেও
নৌকো ভিড়াও
জলঢেউ সমুদ্র সৈকতে গড়িয়ে উঠলে
সানরাইজ দেখার আনন্দে
নিকশিত হেমই তো মধুর মধুরতম!

ঠ।
এসব জানতো আমার কবিতা ভাবনারা
আমার থিকথিক সুষুম্নাজল
তুমি জানতে পুরোটা কাছে কাছে থেকে।

তুমি চলে গেলে তবু পাহাড় ভ্রমনে
আমি সমুদ্র না হোক কোন ঝিলে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন