শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস-এর কবিতা
স্বচ্ছতার মৃত্যু
আখক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আছে চিনির দোকান। আশা - মরশুমে চারদিকে চকচকে রোদ পেয়ে আখগুলো জনসাধারণকে মিষ্টিমুখ করাবে।
গান্ধীজির এসব জানা ছিলো কি না, কে জানে?
তিনি কেবল মোহনদাস করমচা-এর টক গ্লাসের তলা থেকে গোল সেলুলয়েডের চশমা খুলে নিজের হাতে ক্ষেতের পাশে, ঝুপড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা নিমগাছের চোখে পরিয়ে দিয়েছিলেন।
ঝাপ বন্ধ।
দীর্ঘশীত
গতবারের থেকে এবার শীত দীর্ঘ।
কোকিলের পয়দা করা বাচ্চাদের নিয়ে ভীষণ চিন্তা জাতি বৃক্ষের।
আমগাছ এসব জেনেছে পাতার আড়ালে থাকা কাকের বাসা থেকে।
মুকুল ফোটানোর জন্য শরীরের বিষক্রিয়াতেও, মনের মনিকোঠায় একটিই ডাক শুনতে চেয়ে জপে বসে থাকা কবি কুউহু রব এঁকে ফেললো আমের ডাল কেটে তৈরি হওয়া তুলির টানে।
দুঃখের গল্প
বৃষ্টি হবে।
মেঘের ডাক শুনতে চেয়ে অনেক, অনেক দিন আগের মাটির গর্ভগৃহে রাখা কলশি হা করে আকাশের দিকে চেয়েই রইলো...
মেঘের আরও এক নাম দুঃখের গল্প ।
তৃনভূমিতে
নাম কি রে তোর?
সদ্যোজাত শিশুর মত আধো স্বরে বীজ থেকে বেরোনো ইকোনমিক গাছ বললো -' ঘাস '।
পঙ্খীরাজ উড়ে যেতে যেতে নেমে এলো।
গরুর রচনায় দুধের স্বাদের অভিজাত হয়ে ওঠার পেছনে, দুর্বা'র দড়ি বাঁধা কান্না ডিপ টিউবওয়েলের মুখ থেকে গড়িয়ে পড়ে গেলো তৃনভূমিতে।
খুব ভালো কবিতাগুলো। দুটো ভুল আছে — 'পক্ষীরাজ' হবে আর 'হাঁ' হবে শব্দ দুটো।
উত্তরমুছুন