তপোব্রত মুখোপাধ্যায়-এর কবিতা

তপোব্রত মুখোপাধ্যায়-এর কবিতা

১।
।।যতদূর কথা থাকে।।

যতদূর কথা থাকে, ততখানি অপেক্ষা থাক

রসনায় জড়িত শব্দ। আগুন হয়ে উঠলে
এখনি খাক হয়ে যেত সব।

অথচ দূরত্বসীমা কাঁটাতার দেখায়,
বিকেল, কিংবা ঝরাপাতার সমার্থক --

গন্ধ ছড়ালে ধূপের আগুনটুকু নিভিয়ে ফেলা যাবে

২।
।।অন্ধ করো, অঙ্গীকার।।

অন্ধ করো। অঙ্গীকার। যতটুকু অবিশ্বাস আছে, থাক। যখন গোলাপ গাছ পুঁতবে তার গোড়ায় ছড়িয়ে দিয়ো। সূর্য উঠবে। আকাশ পরিস্কার হলে আরও খানিকটা মেঘ কাটবে। তুমি মেঘটুকুর খোঁজ রেখো। জেনো, মেঘের ঠিকানা নেই। আকাশ আছে। আকাশ না পেলে মেঘেরাও হারিয়ে যাবে একদিন। বিশ্বাস করো, যেটুকু বিশ্বাস অন্ধকারে রেখেছ এতদিন। সেভাবেই বাকিটুকু পথ হেঁটে যাওয়া যায়।

একলা নয়। বিশ্বাস করো -- সময়ের স্মৃতিটুকু ছাপ রাখে। রাস্তায় তুমি শুধু ধুলোঝড় খোঁজো। অথচ এখনও যে অনেকটা হাওয়া বাকি -- আরও একবার একলা হওয়া বাকি -- যেটুকু একলার পাশে ঘুমন্তের ওমটুকু জমে থাকে...

৩।

।।অরুণায়ণ।।

সঙ্কট ও অস্তিত্ব পাশাপাশি চলে।নিতান্ত সহজ যাত্রা ; বিকেলের
পার অবধি তেমনটাই রীতি।

সাঁঝ পেরোলে সাঁঝবাতির আলোয় স্পষ্ট হয় মুখোশ, যেভাবে উড্ডীন
সমস্ত পতাকা পেরিয়ে এলে নীচে পড়ে থাকা পাপড়ির শব এড়ানো
সহজ ; সহজাত
অভ্যেসে মরচে ধরে না কখনোই

শুধু দিন বদলায়, অরুণায়ণ --
ছায়াতলে একাত্মতা যেমন এক যাপন-লালিত অঙ্গশোভা, ঘন হয়ে আসা বালির বাঁধ যতটা আপনবোধে
                   চুমে যায় ঢেউ...


৪।

।।মেরিলিন।।

শির আনত হয়।

একটুকু ওমের জন্য কত
তিতিক্ষা, কবি, ফুল গাঁথা

শব্দের সরণ হয়
সে তোমার পাশে আদুরে
মেনিটি হয়ে বসে

চাঁদের উষ্ণতায় কে দগ্ধ হয় কবি?

দুধ উথলায়। আগুন মরে আসে

পাশে হাত রেখে দেখ মেরিলিন
কি সহজ ছেড়ে গেছে, একফোঁটা
বায়বীয় সুখ --

"এখনও সময় আছে? এই, এই শেষ বার..."

আঃ, চঞ্চল হয়ে ওঠা বড় শক্ত কবি
চঞ্চল হয়ে ওঠা বড় নরম







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন