বিশ্বজিৎ দাস-এর কবিতা

বিশ্বজিৎ দাস-এর কবিতা


ক্রাইমের জন্ম হয় যেভাবে

 
১.
অস্থিরতার আঙ্গিকে ফুটেছে যে ফুল
আচ্ছন্ন ঘুমের কাছে
সিগন্যালহীন খুলি থেকে আসে সে সুগন্ধি ক্ষতচিহ্ন
 
লোকটি ঝনঝন জলের শব্দে কান রেখে
চঞ্চু ভেজান, তপস্বী
নদীর আড়ালে ঝরে যায় নারিকেলজাত নিঃসৃত
 
বউ দূরে, সেও কি তবে?
না। না। নাহ্। কিছুতেই না--
 
বিছানো সংসারের ভারে মেলে না অঙ্ক...

 
২.
প্রয়াত ছায়ায় এসে দাঁড়িয়েছে দৃশ্য
অথচ সে জানে না এই লোকের অন্তরালে
 
ক্ষয়ে যাচ্ছে শরীরের সমস্ত পিঞ্জর
মাথা উঁচু আকাশের
তেলচিটে আলোয় দেখে ভাঙা আয়নার প্রলুব্ধনামা
 
রোজই আসে দেহাংশের ছুঁচ
ভেদ করে ঢুকে যায়, আলতা জড়ানো রাতের ঘরে
 
বাসনের নিস্তেজ শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ছে শুক্রাণু

 
৩.
এভাবেই কেটে যাচ্ছে জীবনের আনকা
প্রণত কনুইয়ের ভিতরে রয়েছে
দূরবর্তী অপ্রাপ্তির
 
থিতানো নির্বিশেষ বাসনার থলিতে
দু'একটি রিঙ্গন জেগে ওঠে, এমনই সে
 
শিরদাঁড়া, তোমাকে সাক্ষ্য রেখে
ব্যতিক্রম প্রতনু বিশ্বাসে আছে ঝুলে
 
একযুগ পেরোনো সেইসব তামাটে যত্ন...

 
৪.

স্বামীর অনুপস্থিতে বেঁধেছে যে বাসা
সেও তো বটফলের মধ্যে ঝিমঝিম বৃষ্টি
 
বড়ো আদরের এই বিলুপ্তিকরণ
 
অন্তর্বর্তী মোবাইল ফাঁপা সোহাগের সুরে ডাকে
গ্রামীণ সবুজের গ্রাফিক্সে
সাড়া দিয়ে মেপে নেয় যে যার অস্তিত্ব...

 
৫.

ধূর্ত জলাশয় আঁকে ম্যাজিক ছুরির
শান্ত খেলা। স্বামীটি হোটেলে রান্নার ঠাকুর আর
 
বউটি জেনেছে এ সম্পর্ক অসাড়
খামতি
ছিল না প্রজাপতির প্রথম রঙের--
 
তবুও দীর্ঘ তেজপাতার বনে জন্ম নিয়েছে বোঁলতা
বাঁক ফেরাবার উৎসাহ নেই, বরং

নেভানো আলোয়
হারিয়ে যাচ্ছে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য?

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন