অবগাহন
অঙ্গাঙ্গী পুরুষ ও প্রকৃতি
কোমল সরোবর এখন ভারী শ্রাবণের যুবতি
জলের ভেতর চাঁদ বৃষ্টির মতন টপ টপ
টপ টপ
জীবনকে অবগাহন করতে দেখি
ঘুমিয়ে পড়ে প্রেম পাতার বুকের উপর
রুপালী ছড়িয়ে যায় অমোঘ
কাজলী সন্ধ্যায় শুকসারি আর শিশিরের জন্ম
ব্যথা জাগতে শুনি চাতকের ঠোঁটে
নদীর পাড় ভাঙ্গতে থাকে বেগতিক
অন্য দিকে অন্য পাড়ে আবার কোন সুসময়ে
জাগবে বলে
জীবনকে বারংবার অবগাহন করতে দেখি
দেখে দেখে বোবায় ধরে যায় অন্তর
জোছনারোদ
এই চাঁদের ছবি আমার বুকের মধ্যে আঁকা
দেখেছি মেঘের সাথে পাখির লুকোচুরি
দেখেছি ধুলোওড়া ধুসর বিকেলে
আকাশ ভাঙ্গা ছায়ার হামাগুড়ি
হৃদয়জূড়োনো হাসি বুকচেরা কুমড়োফালির
শিউলি পাগলা হয়ে ওঠে মাতাল হাওয়ায়
বিছানায় জড়িয়ে পড়ে আনমনে
রামধনু জোছনারোদের উষ্ণতা
বাইরে যত না শীতলতা ভেতর ততটাই লু বয়ে যায়
জানি এ জন্যেই পৃথিবীর সব প্রেমিকার কাছে
আমার এ জোছনা-মন বাঁধা পড়ে আছে !
বায়ুভাব
শরতে হিমেল বাতাস বইছে
গুনগুন করে
কেউ শুনতে চাইছে না
সে বাউলের সুর
ঠান্ডা লেগে যাবার ভয়
বুকে কফ জমার আতঙ্ক
তবু একগুঁয়ে বাতাস চায় না থামতে
চাঁদ দেখিয়েছে কিছু মানুষ নিরুপায়
তাদের কাঁথা কম্বলে অজস্র ছিদ্র
কারো কারো ছেঁড়াটাও নেই
উত্তরায়ণে তারা বাতাস পায় না
তাই দক্ষিণায়ণে অভাব উসুল করে নেয়
বাতাস জানে শ্বাস নেওয়া মানুষের
বাতাসে জন্মগত অধিকার
যেখানেই যাক
যতটাই উঠুক
বা যতদূর নামুক নামতে নামতে
বায়ুভাব তার ফুসফুসে লাগবেই
আর তা লেগে গেলে একবার আয়ুতে
কাব্য করতে কতক্ষণ !
পরকীয়া মোহ
এই তো সবে ভোর ভেঙ্গে কাচা গন্ধ
উঠে এল দরজায়
নখ বেয়ে গড়িয়ে এল উষ্ণ জল
কে ভাবছে হাপড়ের কথা কে জানে
হাপড় যত শ্বাস নেবে
জোয়ালের ভার কমে না
ধার কমেও না কিছু
কে ভাবছে দিনান্তের কথা কে জানে
আমার কাছে পুবদিকটাই পরকীয়া
মোহ বাড়িয়ে দেয় -
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন