সুকন্যা ভট্টাচার্য্য'র কবিতা
মহিমার বাড়ি
১
ধরুন আজ আপনাকে যেতে হবে
পাতাশালী গ্রাম
দ্বারকেশ্বর পেড়িয়ে মাইল পাঁচ
আপনি বলবেন কেন?বেশতো আছি
কি কি আছে বলি..
সবুজ আর সবুজ বাঁশঝাড়
পুরোনো টেরাকোটা মন্দির
কিছু চামচিকে আর রাতে টাটকা ভুত।
আকাশ মানে সমুদ্র
পুকুরের মাঝে ছটফটে চাঁদ
যা ধরলেই ভেঙে যায়।।
২
পাহাড়ের কোলে
কে এক কলসি জল ঢেলে দিল
একটা ছোটো হ্রদ
যেখানে মন ডুবিয়ে চাঁদ খুঁজে পাইনি।
সাঁওতাল পরগনা ঘুরে এখানে
তবু ভেবেছি এখানেই খুঁজে পাব বন্ধুর বাড়ি
সকালে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে
সারি সারি জড়ির সুতো.....
চলছে তাঁতকলে সোনালি জামদানি।
রুকস্যাক নিয়ে শুরু হল পথ চলা
চায়ের দোকানে হেঁটে গেল বাঘের মাসিটি।
৩
কিভাবে সাজাচ্ছ বাড়িঘর
ঝুলিকালি সরিয়ে লণ্ঠন ঘরে ঘরে
উঠোনে পিদিম দশ বারো
রহস্য রেখে যাচ্ছ রোজ।
বাড়ি খোঁজার শেষে
অমোঘ টান...
নির্জনতার মাঝে
একটি পালক
লিখে চলেছে
ফিরে এসো... ফিরে এসো।
৪
দেশ মানেই পৃথিবী
আর মন মানেই ঘর
বিকেলের এক চিলতে রোদ বারান্দায়
আটপৌড়ে শাড়িতে নাচলে .. দারুণ
মাদলের তাল
এসবের নেশায় খুঁজছি তোমার বসত বাড়ি।
ধামসা বাজছে
মহুল বিতান, চাঁদের লুকোচুরি
সুর তাল ছন্দ নিয়ে যাচ্ছে কোথায়?
আমার হাতে কটি তারা ধরা আছে
যা তোমার মাথার মুকুট হবে
আমার মহুল সুন্দরী...।
৫
সেই কবে দেখা হয়েছিল
নদীর চরে বসে কেটে যেত বেলা
পলাশ হাতে সই পাতিয়েছি
...বাড়ি যাওয়ার সাধ রয়েই গেল
খুঁজে চলেছি....
শিমুলতলায় পাতা ছাওয়া সেই ডিঙি
কোন বাড়ি নিয়ে চলেছে?
সেদিনগুলো সাজিয়ে সাজিয়ে
বানাবো আমাদের নতুন বাড়ি
মহিমা রাজি হয়ে যা,প্লিজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন