স্বস্তিকা ভট্টাচার্য'র কবিতা
ঈশ্বর-১
ঈশ্বর এখনও চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন
লন্ঠন খুলে নিয়ে বউ চলে গেছে,
পুকুর ঘাটের অন্ধকারে স্নান সারতে কষ্ট হয়;
ঈশ্বর স্নান সেরে এলে, তাকে মানুষ বলে ডাকি
নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখে মানুষ,
ঈশ্বর মানুষে উত্তীর্ণ হন খাবারের চাহিদায়
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে গিয়ে অস্পৃশ্য হয়ে ভগবান,
এক পাতে ভোগ খায় ভোগ্য আর দাতা।
আলেয়া জড়িয়ে উপাসক হয় সাধু।
গেরুয়ার আড়ালে লালিত লোভ জেগে ওঠে
"ঈশ্বর আছে, আছে ঈশ্বর" চিৎকার করে ওঠে উপাচার,
প্রনামীতে ভগবান নেশা করেন
বউ লন্ঠন নিয়ে ফিরে আসে ভোরে
যেটুকু যা ধুঁয়ে গেছিল, তাই লেগে যায় গায়ে;
মানুষ জনম ঘুচে যায় গোপনে
ধরা-চুঁড়ো-নৈবেদ্য ঈশ্বর জন্ম আবার প্রচারিত হয়
ঈশ্বর ফের তৈরী হন মুড়ি দিয়ে জব্বর ঘুমে
ঈশ্বর-২
অনেককাল পর ঘুম ভাঙল।
পাথর কেটে রূপ পাওয়া এক মূর্তি সামনে।
বিগ্রহ আর বিদ্রোহ পাশাপাশি অধিষ্ঠানে বিচার চলে।
আমি অনেক কাল দেখেছি কোরান আর গীতা'কে কুশল বিনিময় করতে।
জিজ্ঞাসা করলাম,
"এই যে এত ভাগাভাগি তা কিসের! দেবতা তো ভাগ করেননি।"
আমার আবার ঘুম ভাঙলো।
ঘুম?
শুধু তো চোখ খোলা আর বন্ধের তফাত নয়!
ঠোঁট
কে কতটুকু দিলো, কে কতটা পেলো
এসব জানতে চাই না।
রাগ বা আলাপ সবেতেই তো ওই দুটি ঠোঁট।
পাতলা পর্দার মতো অস্তিত্ব তার।
কত কথা জড়িয়ে যায় আমাদের
নিঃশব্দতা সাজিয়ে গুছিয়ে বসে।
তির ধনুকের মতো দুটো রাস্তা
কেউ যেন রাঙিয়েছে হালকা গোলাপীতে।
ঠোঁটের ভেতরে একটা কালো দুনিয়া,
সাজানো কথার পিছনে বইতে থাকা অবচেতনা
আধো ঘুমে বিরক্ত করে চলে।
দুটো গোলাপী তির ছুটে চলে লক্ষ্যের দিকে
ছুঁয়ে থাকে মায়া...
আমার আবার ঘুম ভাঙলো।
ঘুম?
শুধু তো চোখ খোলা আর বন্ধের তফাত নয়!
ঠোঁট
কে কতটুকু দিলো, কে কতটা পেলো
এসব জানতে চাই না।
রাগ বা আলাপ সবেতেই তো ওই দুটি ঠোঁট।
পাতলা পর্দার মতো অস্তিত্ব তার।
কত কথা জড়িয়ে যায় আমাদের
নিঃশব্দতা সাজিয়ে গুছিয়ে বসে।
তির ধনুকের মতো দুটো রাস্তা
কেউ যেন রাঙিয়েছে হালকা গোলাপীতে।
ঠোঁটের ভেতরে একটা কালো দুনিয়া,
সাজানো কথার পিছনে বইতে থাকা অবচেতনা
আধো ঘুমে বিরক্ত করে চলে।
দুটো গোলাপী তির ছুটে চলে লক্ষ্যের দিকে
ছুঁয়ে থাকে মায়া...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন