একটি তারার মৃত্যুবার্ষিকী
কতদূর যাবো বলো আয়ুহীন হাতে আমি
বয়ে নিয়ে ব্যথাতুর সুদীর্ঘ অভিশাপ।
এহেন দুঃখ শেষে ভেঙে যায় ঘুম। আর-
নির্জন পান্থশালায় গেয়ে ওঠেন রফি সাব।
যাবতীয় দায়বোধ, ফুটে থাকে চারাগাছে।
দুহাতে গুঁজে নিয়ে গোটা চার সিকি -
ভেবেছো তুমি যাকে দীর্ঘ জীবনরেখা ;
আসলে তা তারাদের মৃত্যুবার্ষিকী!
ক্রমশ নিথর দেহে জমা হলে ক্ষোভ;
আবছা আলোর ন্যায় তাপহীন শোকে।
আমার স্নায়ুর ভেতর জেগে সারারাত-
তুমি ঘুম হয়ে নেমে এসো কিশোরীর চোখে।
সেই ঘুমের ভেতর চেনা মুখের কারুকাজ-
পাল্টেছে গোধূলি। আর ফিরে আসা দৃশ্য।
প্রতিমার ঠোঁট হতে মুছে নিয়ে দারু আজ;
তুমিও ল্যাংটো করে কাঁদিয়েছো ঈশ্বর!
আলপনা
সযত্নে কেউ কুড়িয়ে রাখছে হিংসে।
যার কাছে তুমি ধার নিয়েছিলে বিবাদ।
এখন আমার ভাষা ফিরিয়ে দিক সে ;
তোমার পুত্রের নাম হোক 'প্রতিবাদ।'
দুহাত হতে নামিয়ে রেখে অস্ত্র; আমি-
খিদের কাছে পাত পেতে দিই সোনার।
যেহেতু আজও প্রতি যুদ্ধজয়ের শেষে...
তুমি কাজ পেয়েছো লাশের হিসেব গোনার!
আমি মৃতের দেহে সামলে রাখি ধর্ম ।
বৃথা ধর্ম বেয়ে অদম্যহীন রোশনাই -
আমি ঘুমের ভেতর হাতড়ে মরি আকাশ...
তোমার দুচোখ হতে ছড়িয়ে পড়া জ্যোৎস্নায়!
সেই জ্যোৎস্না হতে ছিনিয়ে নিয়ে আলো
হলাম এই পৃথিবীর কৃষক; মাটি নোনা।
তুমি সেই মাটিতেই রক্ত ঝরালে; তবু -
আমি তোমার হাতেই সাজানো আলপনা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন