অভিজিৎ মান এর কবিতা
ডিফিউশন
নদী বয়ে যাওয়ার মতো
শুকনো মাঠে রোদ পড়ার মতো
বায়োপসি হওয়া শরীরের মতো।
মুক্তি দিয়েছো।
সোরিয়াসিস বাড়ি বানিয়েছে।
ভোর ৩.৪৬ অব্দি নিম গাছের চেহারা দেখলাম।
সিগারেটের অপেক্ষা রাখে।
অপেক্ষা ছিল সাদা পেঁচাটার।
সালিম আলী বুঝেছিল আর আমি বুঝলাম
রোগ, পাখিটার রোগ
বাসা পাল্টানো ধর্মে
বাসা পাল্টানো এদের জিনে।
শান্ত চোখ গুলো মনে পড়ে
ভিডিও কলে ঘর পাল্টায়
স্বপ্নেরও মুক্তি জীবনানন্দের কবিতায়।
মুক্তি দিয়েছো।
মা শীতলার অপেক্ষায় থাকি।
ভাইরাস
অনেক ভালো ছিলাম।
উত্তরে শীতের কনকনে বাতাস ছিল না।
ছিল না ভোর রাতের ফোন
নিশ্চুপ নির্বাক ইউটিউব।
ছিল না গোল গোল কুন্ডুলিত
রাতভোর।
বুকের ভিতরের গুমসে যাওয়া আওয়াজ
।
বারমুডা ট্রাঙ্গেলের ভেতরে চলে যায়
স্ট্যাটাস মেসেঞ্জার।
বড় খাপ, খাপের ভেতর আমি
তোমার চোখ স্থির
খাপ বানাতে তুমি পটু।
রঙিন খাপ বানিয়েছ। ভিতরে ভিতরে আলো ছড়িয়েছে। মদন মোহন সাক্ষী থাকলেন।
তাহলে কি আমি আবার জবাই হলাম?
পোস্টমর্টেম
তুমি বুঝতেই পারবে না
কখন তোমার উপর দিয়ে মনোলিনগূয়েল হাইপোথিসিসের বাতাস বইবে।
সে সময় বাতাস হয়তো তোমার ভালো লাগবে
না।
অভ্যাস হবে। তারপর।
মনে হবে পৃথিবীটা তোমার
মনে হবে চারিদিকে আনন্দ।
ছবি কথা সব আইফেল টাওয়ার মনে হবে।
ইচ্ছে অনিচ্ছাতে
শরীর তুচ্ছ
মন তুচ্ছ
উষ্ণতার আতর
আর শুধু সময়ের বড় বড় প্যাকেজ নিয়ে
হৃদয়ে হৃদয়ে আঠা লেগে যাবে।
তারপর একদিন কোন এক গ্রামে মদনমোহন
সাক্ষী হয়ে থাকবেন।
ইমোশনাল টর্চার চলবে।
পোস্টমর্টেমের খবর হবে।
ডিমোশন
একটার পর একটা পাথর সাজিয়ে
তৈরি হল কাঁচা মন্দির
ভরসার, আবেগের
সব,ই মালিকের ইচ্ছে।
মালিক এবং শিল্পী দুজনের ভাবনায়
শুরু হলো কারুকার্য চলতে থাকল এক মাস
দুমাস
টেরাকোটা, ভেতরে ডোকরা, বীর হাম্বী
ভাবনায়।
মালিক শিল্পী একদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে
কাছাকাছি এসেছে।
প্রাণ ও প্রতিষ্ঠা হল।
সময় করে উপাসনা
রীতিমত যাগ যজ্ঞ বিজ্ঞান
হঠাৎ মালিকের ইছে হল বিগ্রহ আর রাখবে না। ছাড়তে চাইনা শিল্পী।
এরপর কি মন্দিরটা ধ্বংস হয়ে যাবে?
এরপর কি শিল্পী দুরারোগ্য ব্যাধিতে
আক্রান্ত হবে?
গন্ডা খানেক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট।
শিল্পীর ডিমোশন হয়েছে নাকি!
তবুও ঈশ্বর থেকে গেল।
ঈশ্বরকে টলানো গেল না।
হয়তো মালিক ফিরে আসবে।
হয়তো শিল্পীর ডিমোশন হবে না।
মহলম
তোমরা মহলম মাখাতে যাচ্ছ।
মাখিয়ে নিচ্ছ মহলম।
নামিদামি ব্র্যান্ড।
কত সহজে রাস্তা পারাপার করছো
মন পারাপার করছো।
চিরকুটে তোমাদের নাম বন্দী হয়ে থাকছে।
এই চিরকুট চিত্রগুপ্তের নয়।
সুবোধ বাউরির ছেলে ব্যাটারির।
হাফ দিন মজুর এখন।
সন্ধ্যায় তাসা বাজায় মদ তাকে ধরেনি।
অসুখ হয়েছে।
মন্টু পারসির ছেলে ঝিকিমিকি।
মারওয়ারী দোকানে কাজ করে।
অসুখ হয়েছে ।
আর আমরা
বউয়ের পাশে বসে মিউচুয়াল ফান্ডের
হিসাব করি।
মহলম মাখিয়ে ।
মহলম মাখিয়ে ।
পত্রপত্রিকা পড়ি। সাহিত্য করি।
আমাদের কোনদিন কোন অসুখ হয় না।
অসুখ হবেও না
নিউজ চ্যানেলে চোখ রাখি।
বিসনয় আমাদের চারপাশে রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন